মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২২ পূর্বাহ্ন
রাজধানীতে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসমাবেশ
০ তত্ত্বাবধায়ক বা দলীয় সরকারের অধীনে
সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না
০ নতুন আইন পাশ করে নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর স্বাধীনতা দিতে হবে
০ ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান
স্বাধীনতা বিরোধীদের দখলে
প্রতিবেদক, কালের খবর :
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডেকে ব্যাপক শোডাউন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
শনিবার দুপুরে গুলিস্থান আল বশির মিলনায়তন চত্বরে দলটির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।
মোমবাতি প্রতীক নিয়ে সকাল থেকে নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। দুপুরের মধ্যে গুলিস্তান চত্বর কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে নেতাকর্মীর উপস্থিতি আশেপাশে সড়কে ছাড়িয়ে যায়। এসময় গুলিস্তানে যাজট সৃষ্টি হয়।
ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন
এর সভাপতিত্বে মহাসমাবেশ দলটির ১০ দফা দাবি সম্বলিত ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মহাসচিব অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ।
বক্তব্য রাখেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মঈনুদ্দীন আশরাফী, কো-চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস সোলাইমান আনসারী, মহাসচিব পীরে তরিকত সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, সাংগঠনিক সচিব অধ্যক্ষ ড. ইছমাঈল নোমানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী হারুন, শাহাব উদ্দীন চৌধুরী, অধ্যক্ষ আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, অধ্যক্ষ ড. শেখ আফজল হোসেন, এম সোলায়মান ফরিদ, পীরে তরিকত ছাদেকুর রহমান হাশেমী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী এম এ ওয়াহিদ সাবুরী, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম পাঠোয়ারী, অধ্যক্ষ আবু জাফর মঈনুদ্দিন, অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়্যব আলী, শেখ শাহজাদা গোলাম মুহাম্মদ আবদুল কাদের কাউকাব, অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, শাহজালাল আখঞ্জি, সৈয়্যদ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ প্রমুখ
গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার বারবার ভুলন্ঠিত হচ্ছে অভিযোগ করে ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেন, আমরা চাই দেশে সুস্থধারার রাজনীতির বিকাশ হোক, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত হোক। এ জন্য চাই স্বচ্ছ ব্যালটবাক্সে ব্যালট পেপারে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। নতুন আইন পাশ করে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর স্বাধীন করতে হবে। অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক বা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
দেশের অধিকাংশ মানুষ সূফিবাদী উল্লেখ করে এম এ মতিন বলেন, সুফিবাদীরা দেশে সবচেয়ে অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত। সুফিবাদী আলেম ও নেতাকর্মীদের হত্যাকাণ্ডের কোন বিচার হয় নি। বায়তুল মোকাররম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ কোথাও সুফিবাদী জনতার প্রতিনিধিত্ব নেই। দেশের উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন ৫৬০ টি মডেল মসজিদের অধিকাংশই আজ স্বাধীনতা বিরোধী উগ্রবাদীদের দখলে। সুফিবাদী জনতার প্রতি আর বৈষম্য বরদাশত করা হবে না।
তিনি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে প্রেরিত অর্থে প্রণোদনা প্রদানসহ অর্থ পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ, জঙ্গীবাদীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ বলেন, ধর্মহীন শিক্ষানীতি জাতিকে পঙ্গু করার নামান্তর। অবলিম্বে প্রত্যেক শ্রেণিতে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। একই সাথে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন, সীমান্তহত্যা বন্ধ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।