শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে লাভবান কৃষক, খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর তীব্র গরমে পথচারীদের সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর
চলনবিলের তাড়াশে চলছে ‘পীরের বোয়াল মাছ’ নিধনের মহোৎসব। কালের খবর

চলনবিলের তাড়াশে চলছে ‘পীরের বোয়াল মাছ’ নিধনের মহোৎসব। কালের খবর

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : বর্তমানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে চলনবিলের খালে বিলে বর্ষার পানি আসতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলনবিলাঞ্চলে চলছে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধনের মহোৎসব। যাকে বলে ‘পীরের মাছ’।
এলাকাবাসী জানান, চলনবিলে বর্ষার আগমনে খালে পানি আসতে শুরু করেছে। এ সময় কম পানিতে ডিমওয়ালা বড় বড় বোয়াল মাছ ডিম ছাড়ার জন্য পানির মধ্যে লাফালাফি করে। তখনই প্রতিনিয়ত মাছ শিকারি যুতের সাহায্যে পার দিয়ে কৌশলে হাতবন্দি করে। কারণ ডিম ছাড়ার জন্য বড় মা বোয়াল মাছ উপরে উঠে আসে। পাশাপাশি ছোট (পুং) মাছ বড় মাছের ডিম থলিতে কামড়ে দিলে বড় মা মাছের ডিম নিঃসরণ হয়। মূলত মা মাছের ডিমের কামড়েই উপরে উঠে মাছ শিকারির হাতে ধরা পড়ে। এটিকে চলনবিলের আঞ্চলিক ভাষায় ‘পীরের মাছ’ বলা হয়।
উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন দল বেঁধে এ অঞ্চলের মানুষ চলনবিলের খালে গিয়ে বড় বড় বোয়াল মাছ ধরছেন। একেকটা মাছের ওজন চার কেজি থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত। শুক্রবার সকালে হামকুড়িয়া গ্রামের শাহাদত হোসেন চার কেজি ওজনের বোয়াল মাছ ধরেছেন। এই মাছটির বর্তমান বাজার মূল্য কেজিপ্রতি ৭০০ টাকা।
এছাড়া হামকুড়িয়া পশ্চিমপাড়ার মাছ শিকারি আব্দুল মালেক জানান, শনিবার সকালে তিনি ১০ কেজি ওজনের একটা ডিমওয়ালা বোয়াল মাছ (পীরের মাছ) ধরেছেন। পরে গ্রামেই সেই মাছ ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। তিনি মাছটি ধরেছেন হাটিকুমুরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ৮ নম্বর ব্রিজ এলাকায় চলনবিলের খালে।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. মশগুল আজাদ জানান, ডিমওয়ালা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com