সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। কালের খবর ফুলপুরে পৌর বিএনপির উদ্যোগে মতবিনিময়। কালের খবর রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে হাতের লেখা প্রতিযোগীতায় ১ম স্হান লালমনিরহাটের শিবরাম। কালের খবর এবার ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক সাদপন্থিদের। কালের খবর সাদপন্থিদের কাকরাইল মসজিদে বৃহৎ জামাতে জুমা আদায়। কালের খবর রায়পুরায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্্যালি। কালের খবর রায়পুরায় পৈত্রিক সম্পত্তিতে মাটি ভরাটে চাঁদা দাবি। কালের খবর ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কত টুকু। কালের খবর দেবিদ্বারে মাদক কারবারী দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর মানববন্ধন। কালের খবর
কুমিল্লায় তনু হত্যার আসামি ছয় বছরেও শনাক্ত হয়নি। কালের খবর

কুমিল্লায় তনু হত্যার আসামি ছয় বছরেও শনাক্ত হয়নি। কালের খবর

আক্তার হোসেন ভুইয়া, মুরাদনগর, কালের খবর :
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকান্ডের ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছেন পাঁচবার। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও কোন আসামি শনাক্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত তদন্তেই আটকে আছে মামলার কার্যক্রম।
এ দিকে দীর্ঘ সময়েও তদন্তে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তনুর পরিবার। তাদের অভিযোগ, টাকা ও ক্ষমতা না থাকার কারণে তারা বিচার পাচ্ছে না। পরিবারের ছোট সদস্যকে হারানোর বেদনায় এখনো কাতর তনুর মা–, বাবা, দুই ভাইসহ স্বজণরা।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউজের অদূরে কালভার্টের ২০ থেকে ৩০ গজ পশ্চিমে ঝোপ থেকে কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২১ মার্চ বিকেলে তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ছয় বছরে আগের অবস্থানেই তদন্ত :
২০১৬ সালের ২১ মার্চ সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার প্রথম তদন্তের দায়িত্ব পান কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম। চার দিন পরে ২৫ মার্চ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলমকে। পরে ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম তদন্ত করেন। চতুর্থ দফায় ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা বদল করে সিআইডির নোয়াখালী ও ফেনী অঞ্চলের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জালাল উদ্দিন আহম্মদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
চার বছর পর গত বছরের ২১ অক্টোবর হত্যা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকার সদর দপ্তরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর পিবিআই ৩ বার কুমিল্লা সেনানিবাসে এসে মামলার বাদী তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম ও তাঁদের ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
শনিবার সকালে তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘সিআইডির মতো পিবিআইও জিজ্ঞাসাবাদে পুরোনো বিষয়ে ঘুরেফিরে একই প্রশ্ন করে। কখন তনু ঘর থেকে বের হলো। কোথায় কোথায় পড়াতে যেত। কার বাসায় যেত। এখনো ওরা পাঁচ বছর আগের অবস্থানে আছে। আর কত জবানবন্দি দিতাম আমরা। বিচার নিয়া কী কইতাম? উপরওয়ালা বিচার করবে।’
মামলার বাদী তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে পিবিআই আমাকে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি প্রশ্নের জবাব দিই। এর বাইরে আর কী বলার আছে? গরিব মানুষের টাকা নাই, পয়সা নাই। এই মামলার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। পাঁচ বছর পেরিয়ে ছয় বছর হয়ে গেল, কই বিচার তো পাইলাম না।’
পিবিআই প্রধান পুলিশের উপ-মহা-পরিদর্শক ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, সিআইডির কাছ থেকে মামলার পুরো ডকেটটি নিয়ে তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। তাঁরা ঘটনাটি অনুসন্ধানের এমন কোনো বিষয় আছে কি না, যা সিআইডি অ্যাড্রেস করেনি, তা যাচাই করছেন।
এ দিকে মেয়ে সোহাগী জাহান তনুর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালনে গত বুধবার কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে আসেন বাবা ইয়ার হোসেন ও মা আনোয়ারা বেগমসহ তার স্বজনরা। তনুর মাগফেরাত কামনার্থে কবর জিয়ারত, কোরানখানি, দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com