বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সীতাকুণ্ডে জামায়াত নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ। কালের খবর আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে কালভার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি। কালের খবর জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর
খুলনা-মোংলা মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার বেহাল দশা। কালের খবর

খুলনা-মোংলা মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার বেহাল দশা। কালের খবর

 দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা। এই বন্দরে স্থলপথে যাতায়াতের একমাত্র পথ খুলনা-মোংলা মহাসড়ক। বন্দরে যাতায়াতের একমাত্র স্থলপথ হওয়ায় শুধু বাগেরহাট নয়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছেও সড়কটি সমান গুরুত্বপূর্ণ।

তবে রামপাল উপজেলার বেলাই ব্রিজ থেকে বন্দর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক এখন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বেলাই ব্রিজ থেকে মোংলার দিগরাজ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং দিগরাজ থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন।

এই ১০ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দে ভরা। ঝুঁকি নিয়েই এ রাস্তায় চলাচল করছে হাজার হাজার যানবাহন। একারণে দুর্ঘটনা লেগেই আছে। ছোটো খাটো দুর্ঘটনা নিত‌্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। তবে ভোগান্তি কমাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাঁচ কিলোমিটার অংশে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।

ব্যবসায়ী আব্দুর রউফ বলেন, ‘মহাসড়কটির এই অংশ খানাখন্দে ভরা। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে আমাদের চলাচলে খুব সমস্যা হয়। পণ‌্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যায়। অনেক সময় পণ‌্য বোঝাই ট্রাক বা কাভার্ডভ্যান আটকে যায়। সৃষ্টি হয় জানজটের। পণ‌্য পরিবহনের সময়ও বেশি লাগে। এতে করে ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়ে যায়।’

গাড়ি চালক মজিবুর রহমান বলেন, ‘একট্রিপের পর আর গাড়ি চালানো যায় না। সড়কটির এতই খারাপ অবস্থা যে, একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই পণ্যসহ যাহবাহনগুলো দুর্ঘটনায় পড়ে।’

পথচারী ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর এই কয়েক কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। রাস্তার দুই পাশে স্থানীয় বাজার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো রাস্তার থেকে উঁচু হওয়ায় পানি জমে রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। আমরা দেখি মাঝে মাঝে সড়ক সংস্কার করা হয়। কিন্তু পানি জমে আবার তা নষ্ট হয়ে যায়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিম কাওসার বলেন, ‘খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বেলাই ব্রিজ থেকে দিগরাজ পর্যন্ত সড়কটি মাত্র ২২ ফুট চওড়া। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। এর মধ্যে পণ‌্যবাহী যানবাহনই বেশি। অধিকাংশ পণ‌্যবাহী পরিবহনের ওভার লোডের কারণে সড়কে অতিরিক্ত চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে নতুন করে মেরামতের পরও দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তাটি। সড়টিকে যানবাহন চলাচলের উপযোগী রাখতে রাতদিন ৪০ জন শ্রমিক কাজ করছে। বর্ষার কারণে বিটুমিনের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই সোলিং এইচ বিবি’র কাজ (ইটের সোলিং) চলছে।’

বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘বেলাই ব্রিজ থেকে দিগরাজ বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া দিগরাজ থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বিটুমিন দিয়ে সংস্কার করা সম্ভব না। তবে আমাদের অংশে প্রতিনিয়ত সোলিং এইচ বিবি করে রেগুলার কাজ করে যাচ্ছি। যাতে যানবাহন চলাচলে কোনো সমস্যা না হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অন্যতম কারণ গাড়ির ওভারলোড। ১৯৮৪ সালে সড়কটি নির্মাণ কাজ হওয়ার পর থেকে এখনো পুনরায় নির্মাণ এবং প্রশস্থকরণ করা হয়নি। বর্তমানে সড়কটিতে যানবাহন চলাচলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে রুটিন মেইন্টেনেন্সের আওতায় আবারও সড়কটি মেরামত করা হবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com