মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
কালের খবর রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আপনারা অন্ধ হয়ে সমালোচনা করবেন না। আমরা সমালোচনা চাই, কিন্তু তা হতে হবে গঠনমূলক।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে দুপুরে ‘দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দী স্মরণে’ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু সংবাদপত্র মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এগুলো আগেও হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধেও জাল পরে বাসন্তীর ছবি তুলে পত্রিকায় ছেপে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বাসন্তী ছিল জ্ঞান-বুদ্ধিহীন। এ কারণে তাকে জাল পরিয়ে ছবি তুলে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়।
তিনি দাবি করেন, এই ধরনের ছবি যখন তোলা হয়েছিল তখন একটি কাপড়ের চেয়ে জালের দাম অনেক বেশি ছিল।
হাছান মাহমুদ বলেন, ধানের দাম নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছিল। সরকার এক সপ্তাহের মধ্যে তা ঠিক করে দিয়েছে। তারপরও কিছু লোক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
ধানক্ষেতে আগুন দেয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে ক্ষেতের এক কোনায় আগুন দিয়ে তা ভিডিও করে এবং ছবি তুলে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আবার ভারতের ধান ক্ষেতের একটি আগুনের ঘটনাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়া প্রচার হয়েছে- ‘লিচু কিনে দিতে পারেনি বলে এক লোক তার দুই সন্তানকে হত্যা করেছে।’ আসলে ওই বাবা ছিলেন মানসিক রোগী। অথচ খবরগুলো এমনভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে যেন সব দায় সরকারের উপর পড়ে।
‘উদ্ভট সংবাদ’ পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে যার মতো করে মতামত দিচ্ছে। অনেকে ভুল তথ্যও দিচ্ছে। এগুলো সবই করছে ষড়যন্ত্রকারীরা।
সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন সূচক এখন পাকিস্তান এবং ভারত থেকে এগিয়ে। এই সময়ে তাই সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে।
ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসিকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সুবীর নন্দীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সুবীর নন্দী কেবল কিংবদন্তী সংগীত শিল্পী ছিলেন না, তিনি ছিলেন ভদ্র এবং ভালো মনের মানুষ। চলতি বছর দেশ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, টেলিসামাদ ও আইয়ুব বাচ্চুসহ বেশ কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, উপ-দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, জোটের সহ-সভাপতি সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, যুগ্ম সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান, সুবির নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী, কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি প্রমুখ।