রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আগুন পুড়ছে সুন্দরবন, নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা। কালের খবর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক – শিপ্রা রানী দে। কালের খবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্যকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারুণ্যের অহংকার আবিদ হাসান রুবেল। কালের খবর কক্সবাজারে সাইফুল বাহিনীর প্রধান গ্রেপ্তার। কালের খবর তাড়াশে ইরি বোরো ধান কাটা শুরু। কালের খবর কাজ করতে গিয়ে বাড়িতে ফিরলো শ্রমিকের লাশ!। কালের খবর কুষ্টিয়ায় পানি সংকটে খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয়ের শঙ্কা। কালের খবর ডেমরায় ৬৭ নং ওয়ার্ডের মেহনতি মানুষের মাঝে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ করেন জননেতা তৌফিকুর রহমান শাওন। কালের খবর যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালী। কালের খবর
গ্রামীণফোনের প্রতারণা : সমাধান নেই কাস্টমার কেয়ারেও। কালের খবর

গ্রামীণফোনের প্রতারণা : সমাধান নেই কাস্টমার কেয়ারেও। কালের খবর

কালের খবর ডেস্ক :
গ্রামীণফোনের নানা অনিয়ম, প্রতারণা কিংবা গ্রাহক ঠকানোর হাজার হাজার গল্প শুনেছি। নিজেও যে তার শিকার হইনি, নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কিন্তু গতকাল যা ঘটল, তা আমার কাছে গ্রামীণফোনের প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। কেননা নিজেকে প্রতারিত মনে হওয়ার পর যখন তা সমাধানের জন্য গ্রামীণের কাস্টমার কেয়ারে গেলাম, তাদের উত্তরে মনে হলো গ্রামীণ এটা জেনে-বুঝেই করছে।

এবার ঘটনটা বলি, গতকাল একটা নম্বরে কথা হলো সর্বোচ্চ ৪ মিনিট। তবে গ্রামীণ ফোন তাদের কলরেকর্ডের তথ্য দিয়ে বলছে, কথা হয়েছে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড। ফোনের কললিস্টের কল ডিউরেশনও একই কথা বলছে। ধরে নিলাম গ্রামীণের দেওয়া তথ্যটাই সঠিক।

তবে তার আগে আরেকটু বিস্তারিত বলি।

১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ওই কলটি শুরু হয়েছে রাত ৮টা ২৬ মিনিটে। গ্রামীণ ফোনের দাবি মতে এই কলটি শেষ হবে ৯টা ৪১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে।

একই নম্বর (সিম) থেকে রাত ৯টা ১৩ মিনিটে আরেকটি নম্বরে কথা হলো ৪ মিনিট ২০ সেকেন্ড।

এর মানে কী দাঁড়াল গ্রামীণফোনের দাবি অনুযায়ী ওই সময় তো প্রথম নম্বরেই কথা চলছিল। তাহলে ৯টা ১৩ মিনিটে এই ৪ মিনিট ২০ সেকেন্ড কথা হলো কীভাবে?

কেউ হয়তো বলতে পারেন, আগের কলটি হোল্ড করে পরের কলটি করা হয়েছে? কিন্তু তার কোনো সুযোগ নেই। কেননা রাত ৮টা ২৬ মিনিটের কল এবং ৯টা ১৩ মিনিটের কলের মাঝে কোনো আউটগোয়িং কল নেই। একটি মিস কল ছিল। তৃতীয় ছবিতে তার প্রমাণ রয়েছে। তাছাড়া একই ধরনের ঘটনা গত ২৮ এপ্রিলেও ঘটেছে। ব্যালেন্সে যতটাকা ছিল, সবই কেটে নিয়েছে। অথচ তখন কোনো ফোনই করা হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে আজকে (মঙ্গলবার) মিরপুর ১ নম্বরের গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গেলাম। সেখান থেকে তাদের মতো জবাব দেওয়া হলো। আমি যখন কললিস্ট ধরে অসঙ্গতি তুলে ধরলাম, তখন তাদের জবাব, ‘আমাদের কিছু করার নেই।’

তাহলে জবাবটা কে দেবে? এটা কি মগের মুল্লুক? গ্রামীণফোন যা খুশি করে যাবে? ৪ মিনিটের কলের জন্য ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের টাকা কেটে নেবে? এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না?

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com