রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
কালের খবর নিউজ:
পাইলস বা অর্শ একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। পাইলস বা হেমোরয়েড খুব পরিচিত একটি রোগ। বিশেষত ৪৫ থেকে ৬৫ বয়সী লোকেরা এই রোগে বেশি ভুগে থাকেন। প্রায় ঘরে ঘরে এ রোগের আক্রান্ত রোগী দেখা মেলে।পঞ্চাশ বছর বয়সী লোকদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই খোসপাঁচড়ার মত চুলকানো, অস্বস্তি এবং রক্তপাত হয় যা পাইলসের উপস্থিতি বুঝায়।মলদ্বারে যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি পাইলসের সাধারণ লক্ষণ।কোষ্ঠকাঠিন্য, কম ফাইবারযুক্ত খাবার, স্থূলতা, শারীরিক কার্যকলাপ, গর্ভাবস্থায়, এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকা ইত্যাদি কারণে পাইলস দেখা দিতে পারে।সাধারণত ওষুধ, অপারেশন পাইলসের চিকিৎসা হয়ে থাকে।কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে পাইলস সমস্যার সমাধান করা যায় : * অলিভ অয়েল : প্রতিদিন এক চা চামচ অলিভ অয়েল খান। এটি দেহের প্রদাহ হ্রাস করে এবং মোনোস্যাচুরেটেড চর্বি উন্নত করে থাকে।এছাড়া কিছু বরই পাতা গুঁড়ো করে অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এটি আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে লাগান। দেখবেন ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার ব্যথা কমে গেছে। * বরফ : একটি কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট রাখুন। এটি দিনে কয়েকবার করুন।ঘরোয়া উপায়ে পাইলস নিরাময় করার অন্যতম উপায় হল বরফ। এটি রক্তনালী রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং ব্যথা দূর করে দেয়। * আদা এবং লেবুর রস : ডিহাইড্রেশন হেমোরয়েডের অন্যতম আরেকটি কারণ। আদাকুচি, লেবু এবং মধু মিশ্রিত জুস দিনে দুইবার পান করুন। * অ্যালোভেরা : অ্যালোভেরা জেল আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে লাগান। এটি জ্বালাপোড়া দূর করে ব্যথা কমিয়ে দেবে। আভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা পাতার কাঁটার অংশ কেটে জেল অংশটুকু একটি প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।এবার এই ঠাণ্টা অ্যালোভেরা জেলের টুকরো ক্ষত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এটি ১০ মিনিটের মধ্যে জ্বালাপোড়া, ব্যথা, চুলকানি দূর করে দেবে।