শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে লাভবান কৃষক, খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর তীব্র গরমে পথচারীদের সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর
ইতিহাসের মহানায়ক : স্বাধীনের আগেই বাংলাদেশ ধারন করেছিলেন বঙবন্ধু। কালের খবর

ইতিহাসের মহানায়ক : স্বাধীনের আগেই বাংলাদেশ ধারন করেছিলেন বঙবন্ধু। কালের খবর

ইতিহাসের মহানায়ক
স্বাধীনের আগেই ‘বাংলাদেশ’ ধারণ করেছিলেন

এসকে রেজা পারভেজ কালের খবর : দেশ স্বাধীনের পর পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেন, তখন তার আবেগে আপ্লুত হওয়ার সেই দৃশ্য এখনো বাংলার মানুষদের আলোড়িত করে, আবেগে ভাসায়।

একটা স্বাধীন দেশের জন্য তিনি যে কতোটা সংগ্রাম করেছেন, মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখে এসেছেন; তা বঙ্গবন্ধু বলেই হয়তো সম্ভব হয়েছে। আজীবন একটি মুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখা প্রিয় এই নেতা দেশ স্বাধীনের আগেই ভেবে রেখেছিলেন কি হবে সেই স্বাধীন দেশের নাম।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হওয়ারও দুই বছর আগে দেশের নাম কি হবে, তা ঠিক রেখেছিলেন ইতিহাসের অমর মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অর্থাৎ শয়নে স্বপনে শোষিত বাংলার মানুষের মুক্তির চিন্তা করতেন সর্বকালের এই সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’।

ইতিহাস থেকে দেখা যায় সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘এক সময় এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে ‘বাংলা’ কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকু চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে।…একমাত্র ‘বঙ্গোপসাগর’ ছাড়া আর কোনও কিছুর নামের সঙ্গে ‘বাংলা’ কথাটির অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই।…জনগণের পক্ষ হইতে আমি ঘোষণা করিতেছি আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তান’ এর পরিবর্তে শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’।’

‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ের ২৭৪ নম্বর পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণার উদ্ধৃতি রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন নিয়ে নিজের লেখা ডায়েরি যা ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। সেই বইয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন পরিচয় (১৯৫৫-৭৫)’ অংশে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের নামকরণের কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া ইতিহাসবিদরাও বিষয়টির সত্যতার কথা নিশ্চিত করেছেন।

বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন তার এক লেখায় বলেন, বাংলাদেশ নামটি ওইদিন প্রকাশ্যে ঘোষণা হয়। বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণ দিতে গিয়েই সর্বপ্রথম ওই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের নাম হবে বাংলাদেশ’। পরদিন আমরা পত্রিকায় দেখি মওলানা ভাসানী ও আতাউর রহমান খান বঙ্গবন্ধুর ওই নামকরণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন।

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুনও ‘বঙ্গবন্ধু কীভাবে স্বাধীনতা এনেছিলেন’ এই বইতে এ তথ্য জানান। তিনি সেখানে লেখেন, ‘ওইদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে, যদি নতুন দেশ হয় তার নাম হবে বাংলাদেশ।’

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com