শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে লাভবান কৃষক, খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর তীব্র গরমে পথচারীদের সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর
জোবায়ের ও সাদপন্থী দ্বন্দ্বে পণ্ড হলো মির্জাপুরের ইজতেমা। কালের খবর

জোবায়ের ও সাদপন্থী দ্বন্দ্বে পণ্ড হলো মির্জাপুরের ইজতেমা। কালের খবর

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, কালের খবর :

টঙ্গীর তুরাগ তীর থেকে শুরু করে ইজতেমার ‘পন্থী’ দ্বন্দ্ব ক্রমেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। এর ধারাবাহিকতায় দ্বন্দ্বের জের ধরে পণ্ড হয়ে গেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ৩ তিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা। এর আগে গত ৯ই জুন মির্জাপুরের স্থানীয় এমপি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ একাব্বর হোসেন মাঠ পরিদর্শন করে ইজতেমা কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাওলানা সাদপন্থীদের উদ্যোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর সদরের কাঠালিয়ায় ১৩, ১৪ ও ১৫ই জুন ৩ দিন ব্যাপী এই জেলা ইজতেমার আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকে ওই এলাকার বেশ কয়েক একর জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয় প্যান্ডেল। কিন্তু শেষমেশ প্রশাসনের অনুমতি মেলেনি আয়োজকদের।

প্রশাসনের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মাওলানা জোবায়ের পন্থীদের আপত্তির মুখে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় এই ইজতেমা পরিচালনার অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। অবশ্য মাওলানা জোবায়ের পন্থীদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় তারা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, বাঁশের প্যান্ডেল করা ইজতেমার মাঠ থেকে মিনি ট্রাকযোগে বাঁশের খুঁটি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। পুলিশ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাঠে অবস্থান নিয়েছে প্রায় দেড় থেকে দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য।

এছাড়াও ইজতেমা স্থলের প্রবেশমুখসহ ওই এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গত বুধবার থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা ছিল লক্ষনীয়, গাড়িসহ অবস্থানে ছিল ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

অপরদিকে ইজতেমার মূল ময়দান থেকে মুসুল্লিদের সরিয়ে দিলেও অসংখ্য মুসল্লি ইজতেমা ময়দান সংলগ্ন দারুল উলুম মোহাম্মাদীয়া মাদ্রাসা ও কান্ঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান নিয়ে আম বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম চালাতে থাকে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। টাঙ্গাইলের কালিহাতি, টাঙ্গাইল সদর, মধুপুর ও সখীপুর থেকে আগত অসংখ্য মুসল্লি ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকে বলেন, গান বাজনা বা কনসার্টের আয়োজন হলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হতো না।

ইজতেমার জিম্মাদার মুফতি মোস্তফা খলিল জানান, প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিকভাবে তাদের অনুমতি নেয়া ছিল। সেই মোতাবেক ইজতেমার আয়োজনও করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে একটি মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে প্রশাসনের কাছে তারা লিখিতভাবে আবেদন করেও অনুমতি পায়নি। সবশেষ স্বল্প পরিসরে হলেও ইজতেমা পরিচালনা করে তাবলীগ জামায়াত বের করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক এক প্রশ্নের জবাবে জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠিক কি কারণে ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়নি তা স্পষ্ট নয়। তবে মুলত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় অনুমতি দেয়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com