রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
সিলেট প্রতিনিধি, কালের খবর :: সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আনসার পিসি মুজম্মিল ও সিকিউরিটি ইনচার্জ নজরুলের দখলে। তারা পাহাড়সম অনিয়ম-দুনীতি করলেও তা দেখার কেউ নেই। তাদের নেতৃত্বে আনসার সদস্যদের চাঁদাবাজি ও যাত্রী হয়রানী চরমে হয়ে ওঠেছে। আদায় করা হচ্ছে দৈনিক লাখ লাখ টাকার চাঁদা। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সিলেট এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুর্নাম।
প্রবাসী বহুল সিলেটের সাথে রয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সব ক’টি দেশের সম্পর্ক। বিশেষ করে পশ্চিমা দুনিয়ার সাথে সম্পর্কে দক্ষিণ এশিয়াতে সিলেটের জুড়ি নেই। ্আর এই সুযোগে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা টু-পাইসের ধান্ধায় হয়রানীর স্টীম রোলার চালিয়ে থাকে দেশ বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর। কোন বিদেশী বা প্রবাসী ওসমানী বিমানবন্দরে নামলেই আনসার সদস্যরা শুরু করে চাঁদাবাজি। ‘গীভ টেন রিয়াল, টুয়েন্টি পাউন্ট, থারটি ডলার, টুয়েন্টি দেরহাম যেন তাদের দৈনিক জপমালা। তাদের চাওয়া মত না দিলে বা দিতে না পারলে শুরু করে যাত্রীদের রকমফের হয়রানী। এবছর হ্জাারো প্রবাসী ও বিদেশী এহেন হয়রানীর শিকার হয়েছেন বলে দেশ-বিদেশ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে যাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও হয়রানীর মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একটা বড় অংশ পেয়ে থাকেন পিসি মুজম্মিল ও সিকিউরিটি ইনচার্জ নজরুল।
অভিযোগে প্রকাশ, ওসমানী বিমানবন্দরে অভ্যন্তরে যেসব আনসার সদস্যদেরকে চাঁদাবাজি ও যাত্রী হয়রানীতে নিযুক্ত রাখা হয়েছে তাদের কয়েকজন হচ্ছে, মো.ফেরদোস মিয়া, জাবেদ মিয়া, খোকন মিয়া, শিপন দাশ, হাবীব মিয়া, মন্টু পাল, দিলওয়ার হোসেন, বিতেন্দ্র পাল-সহ প্রায় ২৫ জন।এছাড়াও পিছি মুজম্মিল ও সিকিউরিটি ইনচার্জ নজরুল কর্তব্যকাজে ফাঁকি দেয়া অনুপস্থিত ্আনসার সদস্যদের কাছ থেকে গ্রহণ করে থাকেন প্রাপ্ত বেতনের নির্ধারিত কমিশন।
সূত্রে প্রকাশ, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানর বন্দরের সিংহভাগ যাত্রী সিলেটী বা সিলেটি বংশদ্ভুত পশ্চিমা দেশের নাগরিক। বিমান বন্দরে অবতরন করামাত্র কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা নানা ভাষায় ও নানা ভঙ্গিতে ‘ছিলটী ভাইছাব নি’ ইত্যাদি নানা কথা বলে তাদেরকে অধিকহারে হয়রানী ও টাট্টা করে থাকে। বৈণষম্য সৃষ্টি করে থাকে সিলেটী ও নন সিলেটদের মধ্যে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানর বন্দরস্থ আনসার ক্যাম্পে নারী-পুরুষ-সহ কর্তব্যরত আনসার সদস্য ১০৪ জন। সরকারীভাবে তাদের থাকার ব্যবস্থা থাকলেও এদের মধ্যে মাত্র ৫৪ জন আনসার সদস্য দৈনন্দিন ডিউটি পালন করে থাকে। বাকি ৫০ জন নিজ-নিজ বাসা-বাড়িতে থেকেই দৈনিক ২শ’ টাকা করে বেতন-ভাতা গুনে থাকে। আর বিনা কাজে প্রাপ্ত এই বেতন-ভাতার একটা অংশ তারা দিয়ে থাকে পিসি মুজহম্মিল ও সিকিউরিটি ইনচার্জ নজরুলকে।
আনসার সদস্যদের সবচেয়ে বেশি লাভজনক ডিউটি প্লেস হচ্ছে, ওসমানী বিমানরবন্দরের সামনের পার্কিং এরিয়া। এ স্থানে যাত্রীরা টাকা ছাড়া গাড়ি পার্কিং করতেই পারেন না। সরকারীভাবে নির্ধারিত পার্কিংস্থানে গাড়ি পার্কিং করতে যাত্রী ও চালকদের আনসার সদস্যদের দিতে হয় টাকা। এ টাকা হতে পাকিংয়ে ডিউটিরত আনসার সদস্যরা পিসি মুজম্মিলকে দিতে হয় জনপ্রতি ৪ শ’ টাকা করে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ঢাকার মত ভিজিট পাসের ব্যবস্থা নেই। তাই যাত্রীছাড়া সঙ্গীয় অন্যেদের প্রবেশে রয়েছে সরকারী বাঁধা। নিরাপত্তাজনিত কারণেই এ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পিসি মুজম্মিল ও সিকিউরিটি ইচার্জ নজরুলের নেতৃত্বে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা টাকার বিনিময়ে একেক যাত্রæীর সাথে একাধিক সঙ্গী ও ভিজিটারদের প্রবেশ করিয়ে দেয়। এতে করে ওসামনী বিমানবন্দরে সার্বিক নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে পিসি মুজম্মিল ও সিকিউরিটি নজরুলের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা অনিয়ম-দূর্নীীত ও চাঁদাবাজির সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।