রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, কালের খবর :
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সাইবোর্ড এলাকায় প্রো-এ্যাকটিভ হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় তাহমিনা খান (৩৪) নামের ৭ মাসের অন্ত:সত্বা মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ওয়ার্ডের সাহেবপাড়া (সাইনবোর্ড) এলাকাস্থ প্রো এ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ভূল চিকিৎসার শিকার হয়ে ঐ মায়ের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। রোগীর মৃত্যুর পর তার স্বজনরা ক্ষুদ্ধ হলে হাসপাতাল ছেড়ে ডাক্তার ও কর্মকর্তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ভূল চিকিৎসায় নিহত তাহমিনা খানের দেবর ইমাম কাজী জানান, তার ভাবী তাহমিনা খান দুপুর ১২টার দিকে অসুস্থ্যবোধ করলে সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া (সাইবোর্ড) এলাকার প্রো এ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। এ সময় ঐ রোগীর সাথে তার মা ও বড় ভাই ইব্রাহিম কাজী ও তাদের ম্যানেজার আবু তাহের মিয়া ছিলেন। পরে ডিউটিরত ডাঃ নাজমুল ও ডাঃ খান রিয়াজ মাহমুদ রোগীকে দেখতে চান। এসময় রোগী মহিলা ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করাতে চান। পরে হাসপাতালের ইনডোর বিভাগ থেকে মহিলা ডাঃ নিশাতকে নিয়ে আসলে ডাঃ নিশাত তাহমিনা খানকে দেখে তার দেহে দুইটি ইনজেকশন পুশ করে। ইনজেকশন পুশ করার মাত্র ১০ মিনিট পরই রোগীর অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে জরুরী বিভাগ থেকে রোগীকে আইসিও বিভাগে পাঠানো হয়। আইসিও বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার মৃত্যু হয়েছে বলে রোগীর স্বজনদের জানায়। এসময় রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজনরা হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্মকর্তা তালা মেরে হাসপাতাল ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সাত্তার টিটুর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ বিষয়ে কথা হলে প্রো এ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর কথা অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ এসে চিকিৎসা সংক্রন্ত সবকিছু নিয়ে গেছে। আমি এখন হাসপাাতালে এসেছি। হাসপাতালের ব্যাপারে খারাপ কিছু লেইখেন না। আপনারা হাসপাতালে আসেন, আপনাদের সম্মানী দেয়া হবে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সাত্তার টিটু জানান, রোগীর স্বজনরা দাবি করছেন ভূল চিকিৎসায় রোগী মারা গেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এলাকাবাসী জানায়, ইতিপূর্বে এ হাসপাতালে টাকার জন্য এক মৃত রোগীকে আটকে রাখে। তাছাড়া এক প্রসুতীর সীজার অপারেশন করার সময় নবজাতকের গাল কেটে ফেলার অভিযোগ রয়েছে এ হাসপাতালের ডাক্তারের বিরুদ্ধে।