শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কক্সবাজার জেলা কমিটির অনুমোদন । আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর মসজিদ উন্নয়নের কাজে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর সাতক্ষীরায় ভারত থেকে অবৈধ পথে ফেরার সময় চার বাংলাদেশী আটক। কালের শেখ হাসিনার গাড়িবহরে মামলার সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার। কালের খবর পূর্বগ্রাম ব্লাড ডোনার গ্রুপের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। কালের খবর ব্রয়লারের চেয়ে চাহিদা বেশি বাউ মুরগির, খুশি খামারিরা নবীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই সহোদর চাচাতো বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু। কালের খবর প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ। অটো মালিক, শ্রমিক সমিতির চেক বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। কালের খবর
রৌমারীর তাঁত শিল্প বিলুপ্তির উপক্রম। কালের খবর

রৌমারীর তাঁত শিল্প বিলুপ্তির উপক্রম। কালের খবর

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, কালের খবর  : আর্থিক অভাব-অনটন, সুতার দাম বৃৃদ্ধি, সঠিক দাম না পাওয়া, বৈদেশিক বাজার সৃষ্টি করতে না পারা, যোগাযোগ নাজুক হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে হারিয়ে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চর কাজাইকাটা, ফুলকারচর, খেওয়ারচর, গেন্দার আলগা, সোনাপুর, চরশৌলমারী, বাঘমারা ও পালেরচর গ্রামের বেশির ভাগ তাঁত বন্ধ রয়েছে, অল্প কিছু তাঁত সচল রয়েছে। চর কাজাইকাটা গ্রামের তাঁত মালিক জয়েন উদ্দিন বলেন, এক সময় আমাদের ২০টি তাঁত ছিল। সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থাভাবে ১৭টি বন্ধ রয়েছে। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ৩টি তাঁতকল চালিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছি। কেন বন্ধ হচ্ছে তাঁত শিল্প জানতে চাইলে ওই গ্রামের তাঁত মালিক লেবু মিয়া বলেন, এটা আমাদের বাপ-দাদার ব্যবসা। বাধ্য হয়েই তাঁত বন্ধ করতে হচ্ছে।

কারণ, মোকামে সুতার দাম বেশি, শ্রমিক মজুরি বেশি, কিন্তু কাপড়ের দাম কম। রাস্তাঘাট ভালো না থাকায় দূরের পাইকাররা আসতে চান না। তাই তাঁতকল বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি। আমার বাবার চারটি তাঁত ছিলÑ এখন কোনো রকমে দুটি চালাচ্ছি। চর শৌলমারী গ্রামের বন্ধ তাঁত মালিক মোসলেম উদ্দিন (৫৫) বলেন, আমাদের নিজস্ব কোনো তহবিল নাই। এনজিও থেকে লোন নিয়ে সুতা কিনে আনি। কাপড় তৈরি করে মজুদ করতে পারি না। কিস্তির চাপে কম দামে বিক্রি করতে হয়। ফলে লাভের জায়গায় লোকসানের খেসারত দিতে হয়। সরকার যদি আমাদের ব্যাংক থেকে কম সুদে লোনের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে আমরা এই তাঁতশিল্পটাকে বাঁচাতে পারতাম।

কাটা গ্রামের তাঁত মালিক আব্দুস সালাম বলেন, এক সময় এখানকার তাঁতের তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি, গায়ের চাদর, বিছানার চাদর দেশে বিভিন্ন স্থানের পাইকারা এসে নিয়ে যেতেন এবং কিছু দিন বিদেশেও গেছে। এখন সব কিছুর দাম বেড়েছে বাড়েনি শুধু আমাদের তৈরি তাঁত কাপড়ের দাম। যার ফলে এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সবাই। এ ব্যাপারে চর শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কে এম ফজলুল হক বলেন, আমার ইউনিয়নের চর কাজাইকাটা, ফুলকারচর, খেওয়ারচর, গেন্দার আলগা, সোনাপুর, চর শৌলমারী ও বন্দবেড় ইউনিয়নে বাঘমারা, পালেরচরে প্রায় ২০ হাজার তাঁত ছিল। বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় সাত হাজার তাঁত। এখন সব গ্রাম মিলে তাঁত আছে দুই হাজারের মতো। তিনি আরো বলেন, তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য উপজেলা সমন্বয় সভায় স্বল্প সুদে ঋণের জন্য রেজুলেশন করে জেলায় পাঠানো হয়। কিন্তু তার কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে আমার ইউনিয়নের তাঁতগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এদের জন্য জরুরিভাবে সরকারি ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সেই সাথে বিদেশে রফতানি করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে আমি মনে করি। : :

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com