শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, কালের খবর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট বাজারে সড়কের উপর দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ঘরও তুলে ফেলা হয়েছে। এ কারণে নৌপথে আসা পণ্য ওঠানামা করানো ও নৌযাত্রীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে যাত্রীসহ এলাকার মানুষের মাঝে। সরেজমিন দেখা গেছে, গোকর্ণঘাট বাজারের পশ্চিম প্রান্ত থেকে ছোট ছোট নৌযান বিভিন্ন এলাকার দিকে ছেড়ে যায়। ওই সব নৌযান দিয়ে বিভিন্ন পণ্য আনা-নেয়াসহ আশপাশের একাধিক উপজেলার লোকজন চলাচল করেন। নৌযানের যাত্রীরা যে সড়ক দিয়ে চলাচল করেন ও যেখান দিয়ে পণ্য ওঠানামা করানো সেই রাস্তাটি পাকা করা। পাকা ওই রাস্তার বেশির ভাগ অংশজুড়ে টিনের ঘর উঠানো হয়েছে। ফলে পণ্য ওঠানামা ও যাত্রীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গোকর্ণঘাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. ইয়াকুব মিয়া বলেন, ৫১ বছর ধরে এ বাজারে ব্যবসা করছি। যেখানে ঘর তোলা হয়েছে সেখান দিয়েই আমরা মালামাল ওঠানামা করাতাম। নৌযানের যাত্রীরাও এ পথ দিয়েই চলাচল করতেন। কিন্তু ঘর উঠানোয় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও গোকর্ণঘাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ফেরদৌস মিয়া বলেন, জায়গাটি সরকারি। কিন্তু মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা রাস্তাটি পাকা করে দেই। রাস্তা পাকার করার পরই সরকারি লোকজন এসে এখানে ঘর তুলে দিয়ে যান। বলা হয়, জায়গাটি লিজ দেয়া হয়েছে। এতে পণ্য ওঠা-নামানো ও যাত্রীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। তিনি জানান, সরকারি ওই জায়গাটি প্রয়োজনে রাস্তা হিসেবে ব্যবহারের জন্য কয়েকজন মিলে লিজ নেয়ার আবেদন করেন। কিন্তু সেটা না করে দোকানঘর হিসেবে বরাদ্দ দিয়ে সেখানে ঘর উঠানোয় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সোহেল রানা বলেন, যে জায়গাটিতে পাকা রাস্তা করা হয়েছে সেখানে দোকান বরাদ্দ দেয়া হয় মাস চারেক আগে। কয়েকজন অবৈধ দখলদার উদ্দেশ্যমূলকভাবে কিছু দিন আগে ওই জায়গায় পাকা সড়ক নির্মাণ করে। জনগণের স্বার্থের কথা অবশ্যই চিন্তা করতে হবে। ওখানে সরকারি জায়গায় যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো সরিয়ে নিলেই চলাচলের রাস্তা বের হবে। কিছু দিনের মধ্যেই সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।