শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
মো: মোক্তার হোসেন (সানি):-
সদর উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জনের মতো আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষকলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন সমর্থক ও জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের আলী হোসেন সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আলী হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন সমর্থক জাকির হোসেন, আব্দুর রশিদ, নূর ইসলাম, এরশাদ হোসেন, রাসেল, সাদ্দাম, সাইফুলের নাম জানা গেছে। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আলী হোসেন দাবি করে বলেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের তিন নাম্বার উপদেষ্টা হিসেবে সাইনবোর্ডের অফিসে বসতেন। এক পর্যায়ে সে দলবল নিয়ে লেগুনা, ইজিবাইক, দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও পন্যবাহী যানবাহন থেকে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার চাঁদা ওঠান। অথচ সংগঠনের ফান্ডে কোনো টাকা জমা করেনি। এ নিয়ে একাধিকার তাগিদ দিলেও সে কোনো উত্তর দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, একটি প্রভাবশালী মহলের প্রভাবে সংগঠনের নাম বিক্রি করে প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকার চাঁদাবাজি করে সে। সাইনবোর্ড এলাকা ফুটপাত ও সরকারি জমি দখল করে দোকান তৈরি করে দিয়ে প্রতি দোকান থেকে অগ্রিম বাবদ হাতিয়ে নিচ্ছে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা করে। এসব কিছু সে আমাদের শ্রমিক সংগঠনের নামে করলেও শ্রমিকদের কোনো সহযোগিতাই করেনি।
আলী হোসেন জানান, এসব বিষয় নিয়েই সোমবার দুপুরে সাংগঠনিক সভা আহ্বান করা হয়। এতে প্রায় কয়েকশ পরিবহন শ্রমিক সভায় উপস্থিত হয়। এসময় নাজিম উদ্দিনের নির্দেশে তাঁর লোকজন এসে আমার উপর হামলা চালায় এবং মারধর করে। তখন শ্রমিকরা এর প্রতিবাদে তাঁদের ধাওয়া করে। কিন্তু মারধর করেনি।
অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন দাবি করেছেন, সন্ত্রাসী সুরুজ বেপারী, রাজ্জাক বেপারীর নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার দলীয় লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়েছে। আমার অনেক লোক আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, আমি কোন চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নই। তাঁরা মিথ্যা বলেছে। আমার বাড়িতে এখন অনেক লোকজন এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবো না ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।