বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
মোঃ আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড, কালের খবর : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভাটিয়ারীর জাহানাবাদে জামায়াত কর্মী নুর হোসেন ও যুবদল কর্মী রবিউল হোসেন তাজুর বাড়িতে হামলা, মারধর ও গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাজুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রাত সাড়ে তিনটায় যুবদল কর্মী রবিউল হোসেন তাজু দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার বাড়ির সামনে একদল সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে। এসময় তারা তার উপর হামলে পড়ে এবং ব্যাপক মারধর শুরু করে। কিল-ঘুষি, লাথিতে আঘাত করার একপর্যায়ে তাকে গলায় গামছা পেছিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে সন্ত্রাসীরা তাকে মৃত ভেবে মাটিতে ফেলে রেখে চলে যায় এবং ফিরতি পথে তাদের বাড়িঘরের জানালার কাঁচসহ অন্যান্য স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর করে।
পরবর্তীতে তাজুর স্বজনেরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নগরের বেসরকারি আল আমিন হাসপাতালে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক হাসপাতাল) নেওয়া হয়। সেখানে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা শুঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে তাজুর ভাই জামায়াত কর্মী নুর হোসেন বলেন, মধ্য রাতে একদল আওয়ামী সন্ত্রাসী আমাদের বাড়িতে হামলা করে এবং আমার ভাইকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করে এবং তাকে মারধর করে মারাত্মক জখম করে। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
এদিকে আজ সকাল দশটায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা পরিদর্শন করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। এসময় সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মু. কুতুবউদ্দিন শিবলী, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মুশাররফ হোসেন, ইউনিয়ন সেক্রেটারি জমির উদ্দীন, সলিমপুর ইউনিয়ন সেক্রেটারি মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় এসিসটেন্ট সেক্রেটারী মু. কুতুব উদ্দিন শিবলী বলেন, জামায়াত কর্মীর বাড়িতে হামলায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। নুর হোসেন ভাইয়ের বাড়িতে হামলা করা মানে আমাদের বাড়িতে হামলা করা। আমরা এটি বরদাশত করব না। এসময় তিনি বলেন, আমীরে জামায়াত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। যারা ১৫ বছর ধরে আমাদের নির্যাতন করেছে, জুলুম করেছে, আমাদের ভাইদেরকে পুলিশে তুলে দিযেছে, মারধর করেছে, গুম করেছে তাদের ব্যাপারে ধৈর্য্য ধারণ করতে বলেছেন এবং প্রতিশোধের রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তার মানে এই নয় যে কেউ রাতের অন্ধকারে হামলা করবে, হত্যার চেষ্টা করবে। আর আমরা তাদেরকে ছেড়ে দিব।
তিনি আরও বলেন, আমীরে জামায়াত এটিও বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কেউ যদি মামলা করেন তাকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্ব্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সীতাকুণ্ড উপজেলার আমির মাওলানা মিজানুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি রাশেদুজ্জামান মজুমদার এ যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিযেছেন।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তবে আমরা এ বিষয়ে ভুক্তভুগীর কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।