বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সীমান্তে পুশইন বন্ধে স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে কাজ করছে বিজিবি। লে. কর্নেল মো.খালিদ ইবনে হোসেন। কালের খবর রায়পুরায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ স্থগিত : পুনর্বহালের দাবি। কালের খবর প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে প্রেমিক উধাও, বাড়িঘর ভাঙচুর ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। কালের খবর জিসপ’র উদ্যোগে শহীদ জিয়ার ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। কালের খবর মাটিরাঙা সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশনে’র উদ্যোগে ৯ জুন ঈদ পূর্ণমিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কালের খবর খেলাপি ঋণের বোঝায় ঝুঁকিতে আর্থিক খাত। কালের খবর ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুরে জনমিতি পরিবর্তন করছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। কালের খবর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ। কালের খবর কুষ্টিয়ায় অগ্নিসংযোগে ধ্বংস কু‌ষ্টিয়া ম‌ডেল থানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠা‌নে হট্ট‌গোল। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি ধৃত। কালের খবর
কুষ্টিয়ায় ১-২ টাকার মুদ্রা নিচ্ছে না ব্যাংক। কালের খবর

কুষ্টিয়ায় ১-২ টাকার মুদ্রা নিচ্ছে না ব্যাংক। কালের খবর

 

মোঃ ইসমাইল হুসাইন কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি, কালের খবর : কুষ্টিয়ায় এক ও দুই টাকার মুদ্রার লেনদেন না থাকাই ক্রেতা ও বিক্রেতারা একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছেন । অনেক সময় ক্ষুদ্রপণ্য কিনতে গিয়ে কথা কাটাকাটিতে জড়াচ্ছেন উভয়পক্ষ‌ই । এমন চিত্র কুষ্টিয়ায় অহরহ দেখা যাচ্ছে। অনেকে অনেকে অভিযোগ করেন, ব্যাংকে গেলেও ধাতব মুদ্রার কয়েন গুলো নেয়া হয় না। জেলায় ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রা বা কয়েন এখন অচল । এমনকি ভিক্ষুককে দিতে চাইলেও নিতে চান না। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই কয়েন অচল না হলেও কুষ্টিয়া জেলার সরকারি -বেসরকারি ব্যাংকগুলো তা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

কুষ্টিয়া বড়বাজার, পৌরবাজার, রাজারহাটসহ একাধিক মুদি ব্যবসায়ী জানান,১-২ টাকার কয়েন নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছেন তাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা । ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান অসংখ্য পণ্য রয়েছে যেগুলো বিক্রি করতে হলে খুচরা টাকার খুচরা টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এ কয়েন কেও নিতে চান না। তবে কেন কয়েন নিতে সবার এত অনীহা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি কেউ । তারা মনে করেন এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজর নেই বলেই আজ এই অবস্থা। চা বিক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, চিনি যখন ৩০ টাকা কিনেছি
তখনো এক কাপ চায়ের দাম ৫ টাকা ছিল, এখন ১৬০ টাকা কেজি চিনি কিনেও ৫ টাকা দেয় মানুষ। ৬-৭ টাকার চাইলেও বলে ৫-১০ টাকার নোট আছে। চা বিক্রেতা মধু বলেন, চিনিসহ সবধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। কুষ্টিয়ায় কয়েন প্রচলন না থাকায় আমাদের চায়ের দাম বাড়াতে পারিনি।
এদিকে মুদিখানা বা স্টেশনারি দোকান গুলোতে দেখা যায় কেনাকাটা শেষে কাস্টমার ১-২ টাকার
পরিবর্তে চকলেট দিয়ে লেনদেন করছেন। এতে বিপাকে পড়ছে ক্রেতাগণ। আজিজুল নামের এক ক্রেতা বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগে শহরের এক ডিপাট মেন্টাল স্টোর‌ থেকে পণ্য কিনলাম। দুই টাকার পরিবর্তে আমাকে ফেরত হিসাবে একটা চকলেট দিলো । কয়েন লেনদেন থাকলে আমি নগদ টাকা পেলে সেটাই আমার উপকার হতো।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ১ বা ২ টাকার কয়েন সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এবং প্রচলন আছে। ব্যাংকে আসলে আমারা নিবো। কিন্তু মার্কেট কেন লেনদেন হচ্ছে না এটা আমি বলতে পারবো না। জেলা প্রশাসক মোঃ এহতেশাম রেজা বলেন, কয়েন অচলের ব্যাপারে আমি সকল ব্যআংক ম্যানেজার এর সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন,ব্যাংকে কয়েন লেনদেন সচল আছে। আমার নির্দেশনা আছে কুষ্টিয়ার সকল দোকানগুলোতে যেন কয়েনে লেনদেন হয়। তারপরেও যদি কোনো দোকানদার কয়েন নিতে বা দিতে অনীহ্য প্রকাশ করেন, তাহলে আমরা সেসব দোকানগুলোতে অভিযান চালাবো।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com