বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, কালের খবর :
দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে অভিযান চালিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ওই মোকামে যান। এ সময় একটি মিলের গুদামে প্রায় ৪০০ টন ধানের মজুত খুঁজে পান মন্ত্রী। সুবর্ণা অটোরাইস মিলের মালিক জিন্নাহ আলম অন্য একটি মিলের গুদামে অবৈধভাবে এ ধান মজুত করেছিলেন। মন্ত্রীর নির্দেশে তাৎক্ষণিক গুদামটি সিলগালা করা হয়। এ ছাড়া একই ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি আটা মিলের গুদামে ১৫০ টন গমের অবৈধ মজুত পেয়ে সেটিও সিলগালার নির্দেশ তিনি। এদিন মন্ত্রী পর্যায়ক্রমে খাজানগর মোকামের অন্যতম মিনিকেট চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেশ এগ্রো ফুড, সুবর্ণা এগ্রো, স্বর্ণা এগ্রো ফুড, আল্লার দান এগ্রো এবং রশিদ এগ্রো ফুডে যান। এসব চালকল ও এর গুদাম ঘুরে ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। প্রায় প্রতিটি মিলেই কিছু না কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পান তিনি। এর মধ্যে আল্লার দান এগ্রো ফুডের একটি গুদামে প্রায় ৪০০ টন ধানের মজুত দেখতে পান তিনি।
পরে জানা যায়, ওই ধানের মালিক সুবর্ণা এগ্রো ফুডের স্বত্বাধিকারী জিন্নাহ আলম। জিন্নাহ আলমের আটার মিলে প্রায় ১৫০ টন গমের মজুতও খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি তাৎক্ষণিক গুদাম দু’টি সিলগালা করার নির্দেশ দেন। এ সময় খাদ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মিল মালিকদের ভর্ৎসনা করেন। পাশাপাশি তিনি কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাবুল হোসেনকেও ভর্ৎসনা করেন। তিনি খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বলেন, ‘এসব অনিয়ম কেন এতদিন চোখে পড়েনি। সব কিছু যদি আমাকে দেখতে হয়, তাহলে তোমরা এখানে কী করো।’
পরিদর্শনকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. এহতেশাম রেজাসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিকালে খাদ্যমন্ত্রী কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালকল মালিক, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চালের দাম কমানোর জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়ায় অভিযান পরিচালিত হলো। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের দাম না বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।