রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন রাজধানীর শাহজানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল মিয়া। তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণে ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে মাংসের দাম সহনশীল পর্যায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ফলে দাম ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে আসায় নিম্নআয়ের অনেকেই মাংস কেনেন। কিন্তু হুট করে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় আবারও নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে গরুর মাংস। তবে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির বাজার।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর মানিকদী ও মাটিকাটা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। গত সপ্তাহে গরুর কলিজা ৬৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়ে ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ব্রয়লার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও একলাফে ১০ টাকা কমে এখন ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে লেয়ারের দাম। গত সপ্তাহ এবং এ সপ্তাহেও ২৮০ টাকা দরেই লেয়ার বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগি এবং কেজিপ্রতি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কক মুরগি।
মুরগি বিক্রেতা আলামিন বলেন, মাঝে মুরগির দাম কিছুটা বাড়লেও এখন আবার কমে গেছে। তবে মুরগির বাজারে সবসময়ই ১০-২০ টাকা এদিক সেদিক হয়। খুব বেশি আকারে দাম কম বেশি তেমন একটা হয় না।
গরুর মাংস বিক্রেতা আমিন বলেন, গত সপ্তাহে যে দামে মাংস দিতে পেরেছি এ সপ্তাহ থেকে আর সম্ভব হচ্ছে না। আমরা অতিরিক্ত দামে গরু কিনছি ফলে দাম না বাড়ালে লোকসানে পড়তে হবে। দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ মাংস একটু কম কিনতে আসে। দাম কম থাকায় কিছুদিন মাংসের চাহিদা প্রচুর ছিল। তবে এখন দাম বাড়লেও ক্রেতা ঠিকই আছে।
বাজার করতে আসা রিপন আহমেদ বলেন, কিছুদিন গরুর মাংসের দাম মোটামুটি কম ছিল। দাম কমে যাওয়ায় আমি প্রায় ৩ কেজি মাংস কিনে নিয়েছিলাম। সেগুলো এতদিন খেয়েছি। কিন্তু এখন আবার দাম বেড়েছে। তিন কেজি কেনার সাহস আর নেই। ১ কেজি দিয়েই চালিয়ে নিতে হবে।