মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। কালের খবর ঈশ্বরগঞ্জে কালভার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি। কালের খবর জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান অতিরঞ্জিত, ডব্লিউএইচওর তথ্য অবাস্তব : বিআরটিএ-চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। কালের খবর

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান অতিরঞ্জিত, ডব্লিউএইচওর তথ্য অবাস্তব : বিআরটিএ-চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। কালের খবর

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর, ঢাকা : 

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যানকে অতিরঞ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। এ ছাড়া এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যও অবাস্তব বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ ভবনের সভাকক্ষে ‘সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য প্রকাশ’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির রিপোর্ট অতিরঞ্জিত। এতে তাদের প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এস্টিমেটেড মৃত্যুর সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৭৮ রিপোর্ট আকারে প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে একটি ভুল বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।

২০২৩ সালে বিআরটিএর রিপোর্ট অনুযায়ী ৫৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০২৪ জন, বাংলাদেশ পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী ৫০৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৭৫ জন, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ৬৯১১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৫২৪ জন এবং বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির রিপোর্ট অনুযায়ী ৬২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৯০২ জন নিহত হয়েছে। বিআরটিএর তুলনায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যানে ২৮৭৮ জনের মৃত্যুর তথ্য বেশি দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানের বিষয়ে জানানো হয়, রিগ্রেশন মডেল ব্যবহার করে এস্টিমেটেড তথ্য প্রকাশ করে যার সঙ্গে বাস্তব অবস্থার মিল পাওয়া যায় না। পাশাপাশি এই মডেল সব দেশের জন্য এক নয়। ডব্লিউএইচও বিশ্বের সকল দেশকে চারটি বিস্তৃত ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে পৃথক রিগ্রেশন মডেল ব্যবহার করে। যেসব দেশে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার জন্য উন্নত দেশগুলোর মতো সিস্টেম নেই তাদের ক্যাটাগরি-৪-এ রাখা হয়। ক্যাটাগরি-৪ একটি খুবই বিস্তৃত ক্যাটাগরি। এই ক্যাটাগরিতে অনেকগুলো দেশ রয়েছে। এ ক্যাটাগরির সকল দেশের দুর্ঘটনার মৃত্যুর সংখ্যা অনুমানের জন্য ডব্লিউএইচও একটি মাত্র কম্পিউটারনির্ভর রিগ্রেশন মডেল ব্যবহার করেছে যার মাধ্যমে এতগুলো দেশের সড়ক দুর্ঘটনার বাস্তব চিত্র উঠে আসে না। এ ছাড়া এ পদ্ধতিতে ইন্ডিকেটর হিসেবে দেশের আইন, নীতিমালা, সড়ক ব্যবস্থার বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে, যার কারণে এস্টিমেটেড সংখ্যা কমবেশি হয়। অর্থাৎ দুটি দেশের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা এক হলেও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম, আইন ও ব্যবস্থা না থাকলে এস্টিমেটেড সংখ্যার ব্যাপক পার্থক্য হয়। আমাদের দেশের জনসংখ্যা অত্যন্ত বেশি হওয়ায় তাদের ক্যালকুলেশনে আমাদের দেশের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দেখায়।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com