বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ অপরাহ্ন
মোঃ সোহাগ আরেফিন গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি. কালের খবর : মুনসুর রহমান নামের এক মাছচাষীর কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে ৪৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছেন তিন ব্যাক্তি। চাঁদা না দিলে মারধর, গ্রেপ্তার ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের হুমকিও দিয়েছেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে ভুক্তভোগি মাছচাষী বাদী হয়ে মাসুদ রানা, সুমন মোল্লা ও আব্দুস সালাম মোল্লাকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে মাসুদ রানা গুরুদাসপুর পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। অপর দুই অভিযুক্ত সুমন মোল্লা ও সালাম মোল্লা উভয়ে পিতা-পুত্র। তাদের বাড়ি উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামে। মাছচাষী মুনসুর রহমানও একই গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী মাছচাষী মুনসুর রহমান বলেন, ঝাউপাড়ার মাসুদ রানা ও শামীম রেজার ৭ বিঘা জলকরের একটি পুকুর লিজ নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করছেন তিনি। পুকুরে বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ রয়েছে। পুকুরটির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশি সুমন মোল্লা ও সালামত মোল্লার সাথে তার মনোদ্বন্দ চলছিল। শনিবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে পুকুরে পানি দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ করেই মাসুদ রানা নামের এক ব্যাক্তিকে পুলিশ সাজিয়ে তার পুকুরে আসেন সুমন ও সালামত। অবৈধভাবে বিদ্যুৎ নেয়ার অপবাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক তার খুলে নেন সুমন। একপর্যায়ে টাকা না দিলে গ্রেপ্তার এবং মারধরের হুমকি দেন। ভয়-ভীতি দেখান বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনেরও।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত তিন ব্যাক্তি মিলে প্রায় ৪৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাৎক্ষণিক এতো টাকা জোগাড় করতে না পেরে পুলিশ পরিচয়দানকারি মাসুদকে প্রাথমিকভাবে ছয় হাজার টাকা দেন তিনি। রবিবার বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। বাকি টাকা পেতে বারবার ফোন করে ভয়-ভীতি দেখান পুলিশ পরিচয়দানকারি মাসুদ।
পুকুরের মালিক শামীম রেজা বলেন, পুলিশ পরিচয় দেওয়া মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে তিনি কল দিয়ে জানতে পারেন মাসুদ পুলিশ সদস্য নন। পরে থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।