রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫১ অপরাহ্ন
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, কালের খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে যানবাহন ভাংচুর ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৩ জনকে আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Google News গুগল নিউজে দৈনিক কালের খবর পড়তে ফলো করুন
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হরতাল চলাকালে পুলিশের কাজে বাধা, যানবাহন ভাংচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নবীনগর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির ১৮ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে মামলার অন্য আসামিরা পলাতক থাকলেও তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নবীনগর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমীন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ইমাম হোসেন অনিক, জিনোদপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সেক্রেটারি রাব্বি মিয়া, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান, বড়িকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাঈমুল ইসলাম, নবীনগর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্ববায়ক রুবেল মিয়া, জিনোতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি বদিউল আলম, বিটঘর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি আবু শামা, বিটঘর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্ববায়ক আল আমীন, বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ছলিমগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সেক্রেটারি এরশাদ উল্লাহ, নোয়াগাঁওয়ের মুজিবুর রহমান, নারায়ণপুরের সজিব আহমেদ, নীলনগরের আবদুল মমিন, কড়ইবাড়ির রকিব উদ্দিন, জিনোদপুরের মনোরঞ্জন সূত্রধর, জল্লিকান্দির খাদেম আলী ও শ্যামগ্রামের ইয়াছিন আরাফাত।
নবীনগর পৌর বিএনপির সভাপতি ও মামলার আসামি ওবায়দুল হক লিটন বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড অসুস্থ। চিকিৎসা নিচ্ছি। তবে শুনেছি ঘটনাস্থলে না থাকার পরও আমাকেসহ অনেককেই নাকি আসামি করা হয়েছে। এসবই মিথ্যে, সাজানো ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। এটি খুবই দু:খজনক।’
গ্রেপ্তারের বিষয়ে কথা বলতে নবীনগর উপজেলা বিএনপির শীর্ষ অন্য নেতাদেরকে মুঠোফোনে বারবার কল দেওয়া হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসি (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ বলেন, ‘অন্যায় করে কেউ অপরাধ স্বীকার করবে না? সকালের ঘটনার সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা পুলিশ পেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।