রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
কুষ্টিয়া লালন আখড়াবাড়ি ঘিরে পর্যটকদের জন্য নেই কোনো থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা। কালের খবর

কুষ্টিয়া লালন আখড়াবাড়ি ঘিরে পর্যটকদের জন্য নেই কোনো থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা। কালের খবর

 

মোঃ ইসমাইল হুসাইন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, কালের খবর : কুষ্টিয়া লালন আখড়াবাড়ি ঘিরে পর্যটকদের
জন্য নেই থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পৌর শহর কুষ্টিয়া। সরকারি বেসরকারি হিসেব মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার মানুষের থাকার মতো আবাসিক হোটেল সুবিধা আছে এই শহরে।
শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন নাম ও মানের রেস্তোরা আছে, পাওয়া যায় দেশি বিদেশি বিভিন্ন খাবার।
কিন্তু এইসব সুবিধা নেই কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া গ্রামের লালন শাহ আখড়াবাড়ির আশেপাশে, লালনের আখড়াবাড়ি বা মাজারে সব সময়ই যাতায়াত করেন সাধু ভক্ত, লালন অনুসারী ও দেশ-বিদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীরা।
অল্প কয়েকদিন পরেই ফকির লালন শাহের ১৩৩ তম তিরোধান দিবস। এই দিবসে লালন শাহের আখড়া বাড়িতে জমে সাধু ভক্তের মিলন মেলা, সেই সাথে দেশ-বিদেশ থেকে ভিড়তে শুরু করে পর্যটকেরা।
থাকার যায়গার অভাব, অপরিচ্ছন্ন উৎসব প্রাঙ্গণ, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও গোসলের অব্যবস্থাপনায় নাজেহাল হতে হয় আগত সকল শ্রেণীর মানুষের। আগামী ১৭,১৮,১৯ অক্টোবর, ১,২,৩ কার্তিক ১৩৩ তম তিরোধান দিবস পালিত হবে লালন আখড়াবাড়িতে । লালন শরন উৎসব ও তিরোধান দিবসে জমে লাখো মানুষের ভিড়।
বছরে দুবার বড় আয়োজন ছাড়া অন্যান্য সময়ও দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে আগত পর্যটকেরা থাকা খাওয়া করেন শহরের হোটেল রেস্তোরাঁ গুলোতে।
সরকারি বেসরকারিভাবে থাকা খাওয়ার তেমন কোন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি ফকির লালনশাহের আখড়াবাড়ি ঘিরে।
আগত দর্শনার্থীরা তাদের অসুবিধার কথা তুলে ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এই দুর্ভোগ নিরসনের জন্য এগিয়ে আসতে বলেন।
সিলেট থেকে আগত দর্শনার্থী আরিফ মাহমুদ বলেন, লালন শাহের মাজার দেখার উদ্দেশ্যে আমি সিলেট থেকে এসেছি, কিন্তু মাজারের আশেপাশে বা কাছে কোন হোটেল বা রেস্টুরেন্ট নেই, শহরের মধ্যে একটা আবাসিক হোটেলে উঠেছি, লালন মাজার থেকে অনেক দূরে হয়ে যায় এবং খাবার জন্য শহরে যেতে হয়, আবার সন্ধ্যার আগে হোটেলে ফিরতে হয়।আমাদের মতো পর্যটকদের জন্য এটা খুবই ঝামেলার, মাজার সংলগ্ন বা আশেপাশে হোটেল থাকলে আমাদের জন্য খুবই মজার হত।
তিনি আরো বলেন সামনে মাসে ইংল্যান্ড থেকে আমার চাচাতো ভাই দেশে আসবেন, উনি লালন শাহের মাজার দেখতে আসবেন, উনাদের থাকার মতো ভালো মানের হোটেল বা কটেজ এখানে নেই, আমি মনে করি এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত।
এই ব্যাপারে লালন শাহের এডহক কমিটির সদস্য সেলিম হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান এখানে একটা ভালো মানের রেস্টহাউজ খুব জরুরী, কিন্তু বর্তমানে একাডেমির ফান্ড নাই, একটা ভালো মানের রেস্টহাউজ করার জন্য লালন অনুষ্ঠানের সময় এমপি, মন্ত্রীদের আমরা একাধিকবার জানিয়েছি, তারা আশ্বাস দিলেও এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com