বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন
আহমেদ সাজু, সখীপুর, কালের খবর :
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৃহবধূ ছাহেরা খাতুন সখীপুর প্রেসক্লাবের দেয়াল ঘেঁষে তাবু টেনে ছায়া তৈরি করে
কাঠের দুটো বেঞ্চ ফেলে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে প্রতিদিন।
জীবনের মানে বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি ছাহেরা খাতুনের। অনেকটা বাধ্য হয়ে টানাপোড়েনের সংসারের হাল ধরতে চা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে খুব বেশি কষ্ট হয়নি।ছাহেরা দম্পতির নতুন অতিথিদের বেড়ে ওঠার সাথে সাথে দৈনন্দিন খরচ বৃদ্ধির চিন্তা করে একটা কিছু করার কথা ভাবতে থাকেন। ছাহেরার ভাষ্যমতে,যেহেতু আমার সংসার সামলিয়ে
পরিবারের বোঝা টানতে কিছু একটা দরকার, তাই সে চা বিক্রির পেশা বেঁছে নেয়।তাবু দিয়ে বানানো অস্থায়ী এ( টং)দোকান মাঝে মধ্যে ভাঙ্গা গড়ার কবলে পড়ে। চা দোকানি ছাহেরার মনে এতোটুকু দাগ কাটেনি,কারণ ৪সদস্যের সংসারের সুখ-শান্তি বয়ে আনতে দিনশেষে কিছু পয়সাকড়ি মিলে।যা দিয়ে সংসারের ভার বহন করার একটা সুযোগ তৈরি হয়।গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,দোকানটির সামনে পৌর ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ চলার কারণে সামান্য জায়গায় সবার বসার সংকুলান না হওয়ায় অনেকে দাড়িয়ে চা পান করছে।ছাহেরার দোকানে চা পানরত এক ব্যক্তি প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে জানান,আপার চা দোকান একটু পরিছন্ন এবং ব্যতিক্রমী চা তৈরি করেন,তাই এ দোকানে আসি।দোকান পরিচালনাকারী ছাহেরা বলেন, যেহেতু আমি মেয়ে মানুষ প্রথম দিকে একটু সংকোচ বোধ করতাম, এখন আর আগের মতো মেয়ে বলে সংকোচ বোধ হয় না।এখন মেয়েরা শালীনতার মধ্যে সব কাজের অংশীদারিত্ব নিতে পারে। ছাহেরা আরও জানান,আমাকে যদি সরকারি কোন জমি বিধি মোতাবেক বরাদ্দ দেওয়া হয়, আমি স্থায়ী চা দোকান করে সংসার চালাতে পারবো।দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎতে একটু মুচকি হেঁসে বলেন,কাজের মধ্যে তখনি আনন্দ পাই, যখন দেখি আমার দোকানে আগত অতিথিরা সকলেই সম্মান রেখে কথা বলেন।
এবিষয়ে সখীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আ:বাছেদ শিকদার বলেন, ছাহেরা অত্যন্ত সহজ-সরল ও ভালো মানুষ। তার একটি মেয়ে কলেজে পড়াশোনা করে।ছাহেরা সরকারি( লিজকৃত)স্থায়ী জমি বরাদ্দ পেলে সন্তানদি নিয়ে ভালো চলতে পারবে।