রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
আব্দুল হামিদ, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি, কালের খবর :- জামাইকে দাওয়াত করে বাড়িতে এনে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার দেখিয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। শশুর মইনুদ্দিন, পরিকল্পতো ভাবে মাস্টার প্লেনে জামাই,সালাউদ্দিন কে দাওয়াত দিয়ে বাড়ীতে এনে প্রথমে মোবাইল মানিব্যাগ নিয়ে মুখে চেপে ধরে গাছের ডাল দিয়ে মারধর করে, হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করলে দোস্ত দোস্তি শুরু হয়। স্ত্রী লিজা বেগম সহ,মামা সুলতান( CNG ড্রাইভার), উস্তার মিয়া, দুলন ও আব্দুল এলোপাতাড়ি লাঠির দ্বারা মাধর করে এমন তো অবস্থায় সালাউদ্দিন চিৎকার করে বলছেন, কে কোথায় আছেন, আমাকে বাঁচান। তারা আমার মারিলার রে……! ইচ্ছে মতো মার দূর করার পর সালাউদ্দিনকে আটকে রেখে কুলাউড়া থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন লিজা ও তার মা বাবা এতে বলাহয় যৌতুক ও নারী নির্যাতন করে মারধ করেন সালাউদ্দিন। এলাকাবাসীর সূত্রে জানতে পেরে সালাউদ্দিন এর পরিবার গ্রামবাসী সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে।
নির্যাতনের শিকার সালাউদ্দিন কুলাউড়া উপজেলাযর চন্ডিপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর জালাই গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।
২০২০ সালে তিনি কুলাউড়া উপজেলার দেখিয়ারপুর গ্রামের মইনুউদ্দিন মেয়ে লিজা বেগমকে বিয়ে করেন তিনি।
সালাউদ্দিন এর অভিযোগ,বিয়ের ১ বছর পর আমাদের একটি পুত্র সন্তান হয়,বর্তমানে ২৭ আগস্ট ডা:রিফাতুল ইসলাম এর চিকিৎসায় জানতে পারি দুই মাসের গর্ভবতী ছিলেন আমার স্ত্রী। বিয়ের ৩ মাস পর থেকেই লিজা বেগম কারণে-অকারণে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। বেশিরভাগ সময়ই বাবার বাড়ীতে থাকতেন লিজা বেগম স্বামীর বাড়ি যাওয়ার কথা বললেই হতো ঝগড়া, এ নিয়ে মনু মিয়া মেম্বার চেয়ারম্যান ও গ্রামের মুরুব্বিরা বহুবার বিচার সালিশ করে। কপালপুড়া স্বামী ভাগ্যে কোন পরিবর্তন হয়নি একপর্যায়ে স্বামী কাছে স্ত্রী স্বীকার করেন, দেখিয়ারপুর গ্রামের একটি ছেলের সাথে তার সম্পর্ক আছে,তার পাঁচপীর জালাই গ্রামের বাড়ি বিক্রি করে। শশুর বাড়ি বসবাস করার প্রস্তাব দেন লিজা বেগম।নাহয় আমাকে তালাক দেন,আমার প্রেমিকে সাথে সংসার করবো, এসব কথা লিজার মা-বাবার কাছে বলেন স্বামী জবাবে বলেন সবকিছু পর একি কথা ঐয়ে জমি বিক্রি করে আমাদের গ্রামে আসেন সব কিছু সমাধান হবে। সালাউদ্দিন জবাবে বলেন,আমার বাবা অন্য আরেকটি সংসারে থাকেন।মায়ের ব্রেইনের সমস্যা এ পৃথিবীতে আমার মা ছাড়া কেউ নেই, আমি এই গ্রাম ছেড়ে যাব না।তাহলে আমার মেয়ে কে তালাক দেন। হুমকি দিয়ে বলে কিভাবে গ্রামে থাকিস আমি দেখে নেব। প্রথম প্ল্যান খাওয়ানোর জন্য দাওয়াত করে মারধরের শিকার।
জয়চন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো:আব্দুর রব মাহবুব বলেন সালাউদ্দিন খুবই ভালো ছেলে, আমি তার গার্জিয়ান হিসেবে সংসার না ভাঙ্গার দায়িত্ব নেই।, কিন্তু স্ত্রী ও শাশুড়ি শশুরের কান মন্ত্র নেওয়ার কারণে সংসার মনে হয় আর ঠিকবেনা।
এ প্রসঙ্গের কুলাউড়া থানার এসআই ফুলচান মিয়া সাংবাদিকের জবাবে বলেন,অভিযোগ পেয়ে সত্যতা নিশ্চিত করতে দেখিয়ারপুর গ্রামে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাইনি,আমরা কারো সংসার ভাঙার পক্ষে নয়,চেয়ারম্যান কে বলে ইউনিয়নে অথবা থানায় মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে।