রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
ইয়াছিন আরাফাত আশিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, কালের খবর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার- আখাউড়ায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে উল্টো ফেঁসে গেলেন হেপি আক্তার ও তার মা মনোয়ারা বেগম। ব্যবসায়ী মশিউর রহমান শান্ত পৌর শহরের মসজিদ পাড়ার আবদুল করিমের ছেলে। এ ব্যাপারে মশিউর রহমান শান্ত বলেন- খরমপুর গ্রামের জিয়া পাড়ার দিদার হোসেন খাদেমের মেয়ে হেপি আক্তার ও তার মা মনোয়ারা বেগম গত ১৮-০৩-২০২১ ইং তারিখে একটি জায়গা কিনবে বলে আমার কাছ থেকে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার 0711120069381, চেক নং abi. msd. c.5406325, ব্যাংক ডিজঅনার করে, চেকের মাধ্যমে মা ও মেয়ে, দশ লক্ষ টাকা হাওলাত নেয়। আমার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে, হেপি আক্তার ও তার মা মনোয়ারা বেগম, তাদের কিছু ক্ষমতাশালি ব্যক্তিদের যুগ সাজেশন ও ইন্দোনে, দেম দিচ্ছি বলে আমাকে কয়েক মাস ঘুরিয়ে টাকা না দেওয়ার পায়তারা শুরু করে ও টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করে। এবং হেপি আক্তার আমাকে মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে, আমি নিজে বাদী হয়ে গত ২৪-০৫- ২০২২ ইং তারিখে, হেপি ও তার মা মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করি। আসামী হেপি আক্তার মামলা নং ৮৫০/২২, আসামী মনোয়ারা বেগম মামলা নং ৮৫১/২২, ওই মামলার আক্রোশে হেপি আক্তার আমার নামে মিথ্যা হয়রানিমুলক, আখাউড়া থানায় একটি অভিযোগ করলে। পুলিশ আমায় আটক করে আদালতে প্রেরণ করলে পরে জানতেপারি, আমার বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মিথ্যা এবং ফরেনসিক রিপোর্ট তাদের পক্ষে তাহারা আদালতে দেখাতে পারেনি। এবং হেপি ও তার মা মনোয়ারা বেগম আমার কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি বলে বারবার আদালতে অস্বীকার করে। পরে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে আদালতে সত্যতা প্রমাণ হওয়ায়। গত বৃহস্পতিবার ১৩ ই জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ন দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে আমার টাকা ফেরত দিতে হেপি আক্তার ও তার মা মনোয়ারা বেগমকে নির্দেশ প্রদান করেন ও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে বাদী মশিউর রহমান শান্তর বড় ভাই মো. হুমায়ুন কবির বলেন, হেপি আক্তার ও তার মা মনোয়ারা বেগমসহ তাদের দুই পরিবারের লোকজন আসা যাওয়া করতো। আমার ছোট ভাই মশিউর রহমান শান্ত, তাদেরকে দশ লক্ষ টাকা হাওলাত দিয়ে উপকার করেছে, পরবর্তীতে তাদের কাছে টাকা চাইলে হেপি টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করে ও শান্তকে মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকি দেয়। তারপর আমার ভাই মশিউর রহমান শান্ত, আইনের আশ্রয় নিয়ে হেপি ও তা মা মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দায়ের করে ছিল। শান্ত মামলা করার পর হেপি বার-বার শান্তকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, তাদের বিরুদ্ধে আদালতের মামলা গুলো শান্ত না উঠালে, শান্তকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবে না হয় প্রাণে হত্যা করবে। আজ আমাদের সত্যর জয় হয়েছে, আদালতের কাছে আমরা সঠিক ন্যায় বিচার পেয়েছি। এ বিষয়ে মামলার বিবাদী পক্ষ হেপি আক্তার ও তার মা মনোয়ারা বেগমকে বক্তব্যের জন্য পাওয়া যায়নি।