একই সাথে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র কিনেছেন বর্তমান সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন ও যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। মঙ্গলবার (১৩ জুন) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বিকেল ৪ টা পর্যন্ত কাউন্সিলের জন্য মনোনয়ন পত্র বিক্রি করা হয়।

 

 

এসময় সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন একাই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুজন সংগ্রহ করেন। সভাপতি পদে অন্য কোন প্রার্থী না থাকায় এককভাবে সভাপতি হন মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
এর আগে সোমবার (১২ জুন) রাতে তফসিল ঘোষনা করেন রিটার্নিং অফিসার অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
নির্বাচনী তফসিলে জানানো হয়, মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে ১৩ জুন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা। জমা নেয়া হবে বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা। মনোনয়ন ফরম যাচাই বাছাই হবে ১৪ জুন বিকাল ৫টায়। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৪ জুন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা।

 

 

সম্মেলনের ভোট গ্রহনের তারিখ ১৭ জুন সকাল ১০টা হইতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ১ হাজার ১০ জনের চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট সামসুল আরিফীন।
প্রায় ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ কাউন্সিল। তাই কাউন্সিলকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা। এর মাঝে কাউন্সিলকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে ৬টি উপ কমিটি। কাউন্সিলে ১০১০ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন ও বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৫০০ ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন। কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হবে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অন্তত ১’শ জন অতিথিকে।

 

 

এর আগে ২০০৩ সালে শহরের চাষাড়ায় বিএনপির ক্ষমতাকালীন জিয়া হলে দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত অধ্যাপক রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক হন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও সিনিয়র সহ-সভাপতি হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও তৎকালীন সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে শহরের আলী আহমেদ চুনকা পাঠাগারে দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তৈমূরকে সভাপতি ও কাজী মনিরুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করেন কাউন্সিলররা।