গত ১৫ই জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস ফতুল্লা অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক মাসুদুল করিম মিন্টুর বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ শিরোনামে জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার প্রথম পাতায় সংবাদ প্রকাশিত হয়,সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন এবং প্রকাশ্যে অহংকারের সাথে বলতে থাকেন আমি মাসুদুল করিম মিন্টু তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর উপর মহলের সবাইকে ম্যানেজ করেই এখনো বীরের মতো তিতাসে চাকরি করছি সুতরাং সাংবাদিকরা আমার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করে আমার কিছুই করতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস ফতুল্লা শাখার সহকারী হিসাব রক্ষক দুর্নীতিবাজ সরকারি সম্পদ লুণ্ঠনকারী মাসুদুল করিম মিন্টু’র প্রকাশ্য এমন বক্তব্য নিয়ে নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ-ই দিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস অফিসের দুই/তিন জন কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেন সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত কোষাগারে জমা রাখার পরেও বহাল তবিয়তে দাপট এর সাথে চাকরি করছেন তার খুটির জোর কোথায়।আমরা চাই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ-ই সকল অনিয়ম দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচার করলে ভবিষ্যতে একদিকে যেমন জাতীয় সম্পদ তিতাস গ্যাস রক্ষা হবে অন্যদিকে আর কেউ দুর্নীতি করার সাহস পাবে না। তিতাস গ্যাস  তিতাসগ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস শাখা ফতুল্লা শাখার হিসাব সহকারী মাসুদুল করিম  মিন্টুর বিরুদ্ধে  বিভিন্ন অনিয়মের দুনীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হিসাব সহকারী হিসাবে ফতুল্লা শাখা ৭/৮ বছর ধরে বিরতিহীন ভাবে চাকরি করছেন। দেশের বাড়ি যশোর,কলেজ জীবনে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল এর রাজনীতি করতেন এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলে জি এস নির্বাচিত হয়েছিলেন। অনুসন্ধানে জানাযায় তিতাসের এক সময়ের প্রভাবশালী অফিসার মামা কালাম মাধ্যমে ২০০২ সালে বিএনপি সরকার আমলে মাস্টার রুলে চাকরি পেয়ে সোনারগাঁও তিতাস অফিসে যোগ দেন।ছাএ জীবন থেকে মাদকাসক্ত থাকা অবস্থায় এই চাকরি পান দলীয় ক্ষমতায়।চাকরিরত অবস্থায় মাদক সেবনের কারনে সাময়িক বহিষ্কার হন। পরবর্তীতে ৬ মাস চিকিৎসা নিয়ে পুনরায় চাকরিতে যোগ দেন ধানমন্ডি তিতাসগ্যাস অফিসে।সেখান থেকে বদলি হয়ে আবারও  নারায়ণগঞ্জ তিতাস অফিসে যোগ দান করেন।  নারায়ণগঞ্জে একটানা ৭, ৮ বছর চাকরি করার অবস্থায় ফতুল্লা এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ি,মিল কারখানায় তিতাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। আর সেই সকল অনিয়ম দুর্নীতির টাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের হাউজিং আবাসিক এলাকায় ৪ নং রোডে গজারিয়া ভবনে একটি আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে মাসুদুল করিম মিন্টুর নামে। সে ফ্লাটে বসবাস করার  কারনে এলাকার সবার সাথে সুসম্পর্ক  গড়ে তোলেন সেই সম্পর্ক কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ফ্লাটে তিতাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে  হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে সিদ্ধিরগন্জ হাউজিং ও ফতুল্লা এলাকায়। গত ৭ই ডিসেম্বর ২০২২ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নারায়ণগঞ্জের শাখা তিতাসগ্যাস অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কারী দুইটি টিম সিদ্ধিরগ্জ হাউজিং এলাকায় তিতাসগ্যাস অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসলে গ্যাস খেকো দুর্নীতিবাজ মাসুদুল করিম মিন্টু সেই দুই টিমের ৪০/৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুপুরবেলায় ভুরিভোজ করান তার নিজ ফ্ল্যাটে। আর এই ভুরিভোজকে পুঁজি করে  অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কারার সময় বিভিন্ন বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে দুর্নীতিবাজ গ্যাস খেকো মাসুদুল করিম মিন্টু মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেন । মাসুদুল করিম মিন্টুর টাকা নেওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।