শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে লাভবান কৃষক, খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর তীব্র গরমে পথচারীদের সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর
সূর্যের দেখা নেই, হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে জনপদ।

সূর্যের দেখা নেই, হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে জনপদ।

দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে, হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে কাবু এসব এলাকার মানুষ। ভোর থেকে বেলা ১১টা বাজেও দেখা মেলে না সূর্যের। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে পড়তে থাকে কুয়াশা। আর এমন কনকনে ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা। দিনে ও রাতে স্থানীয়সহ দূরপাল্লার যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

সকালে দেখা মিলছে না রোদের ফলে কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ। উত্তর জনপদে শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে আছে গরীব, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ।

সদর উপজেলার দূরামাড়ী গ্রামের বৃদ্ধা সামিরা জানিয়েছেন, শীতে খুব কষ্টে আছি বাবা। গতবছর সরকার থেকে কম্বল দিলেও এ বছর কেউ কম্বল দেয়নি। শীতে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না।

মন্দির পাড়া গ্রামের দিনমজুর সোহেল রানা জানান, শীতের কারণে খুব একটা কাজ পাওয়া যায় না। আর কাজ পাওয়া গেলেও তীব্র শীতের কারণে দিনের অর্ধেক কাজ করতে হয়। এতে যা পারিশ্রমিকও অর্ধেক পাই। অর্ধেক পারিশ্রমিক দিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

কনকনে ঠান্ডা ঘন কুয়াশার ফলে দাম বেড়েছে গরম কাপড়ের। সদর উপজেলার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠের পাশে সহ প্রায় দুইশোর আধিক মার্কেট ও হাটবাজারে সাধারণ মানুষ ভিড় করছে গরম কাপড়ের দোকানে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় কয়েক দিনেই বেচাকেনা অনেকটা ভালো।

ব্যবসায়ী মোঃ ইউসুফ জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের দাপট বেড়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ গরম কাপড়ে ঝুঁকে পড়েছে। তবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নিম্ন আয় ও অসহায় গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে শীতবস্ত্র নিয়ে।

অন্যদিকে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডা জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।

নারগুন কহড়পাড়া গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম (৬০) বলেন, এবার শীতটা খুবই বেশি মনে হচ্ছে। দুপুর হয়ে গেছে তাও সূর্যের তাপ তেমন নেই। এতে আমাদের কিছু করার নাই। আমরা গরিব মানুষ কাজ করে খেতে হয়। তাই যতই কষ্ট হোক আমাদের মাঠে কাজ করতেই হবে। তবে সরকার যদি আমাদের দিকে একটু সুনজর দিয়ে গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে আমাদের উপকার হতো।

জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এবার এ জেলার জন্য ২৮ হাজার কম্বল বরাদ্দ এসেছে। তা ছিন্নমূল ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এ বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল তাই আরও ২০ হাজার কম্বল ও ২০ লাখ টাকা শীতবস্ত্রের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এসময় তিনি বেসরকারি সংস্থা এবং বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com