সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ন
যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর :
যশোরে ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমন ধান ঘরে উঠতে না উঠতেই তারা ইরি-বোরোর বীজ বপনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় কেউ সেচের পানি ব্যবহার করছেন আবার কেউ নিচু ডোবা থেকে পানি উঠিয়ে বীজতলা পরিচর্যা করছেন। শীতের তেমন দাপট না থাকায় অধিকাংশ বীজতলার চারা সবল হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, বর্তমান আবহাওয়া ইরি-বোরো বীজতলার উপযোগী সময়। ফলে বীজতলা তৈরিতে চাষিদের অনেক ব্যস্ততা বেড়েছে। তবে দাম সামান্য বেশি হলেও চাষিরা ভালো মানের বীজ বপন করেছেন। যেসব চাষি এখনো বীজ কেনেননি তারা বীজের দোকান গুলোতে ভিড় করছেন।
সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের চাষি শফিয়ার রহমান ওরফে শফি জানান, ইরি বোরো বীজ বপনের সময় আরও কিছু দিন হাতে থাকলেও ধান বীজতলা তৈরির কাজটা তিনি আগেভাগেই শুরু করেছেন। ফলে বৈশাখের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে ঘরে ধান তোলা সম্ভব হবে। এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করবেন।চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের আব্দুল আলিম জানান, রোপা আমন ধান কাটার কিছু দিন পরই তিনি ইরি-বোরো ধানের বীজ বপন করেছেন।
বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, আবাদি জমিতে ইরি-বোরো বীজতলায় বীজ ছিটানো হয়েছে। বীজ থেকে ছোট ছোট গাছ বের হয়েছে। আগামী ২৫/৩০ দিনের মধ্যে বীজতলা থেকে বীজ তুলে জমিতে লাগানো সম্ভব হবে। কয়েকজন চাষি জানান, এবার বীজের দাম কিছুটা বেশি হলেও তারা ভালো মানের বীজ বপন করেছেন। কেননা বীজ সবল হলে ধানও ভালো হবে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, যশোর জেলায় এবার ইরি-বোরোর বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮ হাজার ২শ’হেক্টর জমিতে। তবে বীজতলা তৈরিতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।