শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে লাভবান কৃষক, খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর তীব্র গরমে পথচারীদের সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর
প্রকৃতিতে নেমে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। কালের খবর

প্রকৃতিতে নেমে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। কালের খবর

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি, কালের খবর :

এসেছে নভেম্বর মাস। এ মাসের শুরুতেই শীতের আবহ শুরু হয় হয়েছে । বাতাসে হিমের ছোঁয়া, গাঁ শিরশির করে। ঘাঁসের ওপর শিশির জমে থাকে । কবি বলেন- শিউলির প্রলোভনেই হেমন্তের হাত ধরে আসে শীত। ছাতিম আর শিউলি ফুলের ঘ্রাণ ছাড়া শীতের আগমন যেন নিষ্প্রাণ, ছন্দ-গন্ধহীন।

হেমন্তকেই বলা হয় শীতের পূর্বাভাস। হেমন্তের রাতে এখন মৃদু কুয়াশা; বাতাসে শীতের হিম হিম স্পর্শ। কুয়াশার আঁচল সরিয়ে শিশিরবিন্দু মুক্তো দানার মতো দ্যুতি ছড়াতে শুরু করেছে ভোরের নরম রোদে। প্রকৃতি এখনই শীতের পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে। ভোরে শিশিরসিক্ত করছে দূর্বাঘাস ও গাছপালা। সকালের কোমল রোদে মুক্তোদানার মতো জ্বলজ্বল করে। দিনে সূর্যের তাপের প্রখরতাও কমেছে। মাঠ-ঘাটে শ্রমজীবীরা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন। পশ্চিমাকাশে সূর্য ঢলে পড়লে আরাম বোধ যেন আরও বেড়ে যায়। সকালের মতোই সন্ধ্যার পল্লি যেন নীল কুয়াশার আঁচলে আচ্ছাদিত হয়ে যায় পরম মমতায়। গ্রামবাংলা তো বটেই, শহরেও কখনো যায় শিরশিরে উত্তরা সমীরণ। রাত যত বাড়ে, তত শীতের অনুভবও বৃদ্ধি পায়। প্রকৃতির এই পরিবর্তন বার্তা দিচ্ছে এই বুঝি শীত এলো।

প্রকৃতির এই রূপ অনেকের কাছেই প্রিয়। তাই হেমন্ত অনেক বাঙালির কাছেই প্রিয় ঋতু। এখন থেকে দিন যত গড়াবে পৌষের দিকে ততই সাইবেরিয়ান বায়ু প্রবাহ বাড়বে এ দেশ অভিমুখে। হিমালয়সংলগ্ন দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে অবশ্য ইতোমধ্যে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ধীরে ধীরে জেঁকে বসছে শীত। পাশাপাশি বাড়ছে কুয়াশার প্রকোপ। যে কারণে সেখানে গোধূলিলগ্নে দেখা মেলে কুয়াশার। আবার কোথাও সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা এমনভাবে বিস্তৃত হয় যে, তা দৃষ্টিসীমা হরণ করার উপক্রম হয়। রাত পেরিয়ে যখন ভোরের আগমন ঘটে তখন গাঢ় কুয়াশার দেখা মেলে কোথাও। তার মধ্যেই উঁকি দেয় নবীন সূর্য। শীতের এই অনুভূতি উপভোগ করতে ইতোমধ্যে রূপসী বাংলার ঘরে ঘরে তুলে রাখা পাতলা কাঁথা আর চাদর-কম্বল স্থান পেতে শুরু করেছে খাট-চৌকিতে।

ইট-পাথরের শহরও ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে গত কয়েক দিন ধরে শীতের আমেজ বেশ ভালো করেই বোঝা যাচ্ছে। কমেছে ফ্যানের ঘূর্ণন গতি। সন্ধ্যায় কিছুটা প্রয়োজন হলেও ভোরের দিকে একেবারেই ভিন্ন চিত্র। ফ্যান আর শীতাতপ যন্ত্র বন্ধ করে দিতে হয়। ঘুমের ঘোরে অনেকে খুঁজে নেন উষ্ণতার অবলম্বন। আবার যাদের মাঝ-রাতে বিছানায় যাওয়ার অভ্যাস তাদের অনেকে দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। এসবই শীত থেকে পরিত্রাণের প্রচেষ্টা। তবে নগরবাসীর মতে, এই আবহাওয়াকে শীত বলা যাবে না, এটা শীতানুভূতি। নাতিশীতোষ্ণ পরিস্থিতি।

ঠাকুরগাঁও জেলার বাসিন্দা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, সন্ধ্যা ও রাতে সামান্য গরম ভাব থাকলেও শেষ রাতে ফ্যান বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় অনেকেই খাপ-খাওয়াতে পারছেন না। যে কারণে কেউ কেউ সর্দি-জ্বর, কাশিসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সব বয়সির মধ্যে এই সমস্যা দেখা গেলেও শিশু আর বয়স্করা একটু বেশি ঠান্ডা জ্বর কাশিতে আক্রান্ত। তবে চিকিৎসকরা বলেন প্রতিবছর আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এমনটা হয়ে থাকে। এতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com