শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, কালের খবর :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রী (১২) কে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের নাম মো. আব্দুল হালিম (৪০)। তিনি উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কয়া ইউনিয়নের খলিশাদহ গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। মঙ্গলবার সকালে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গত ২০ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করায় বিভাগীয় উপ পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগ কর্তৃক কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
জনাব মোঃ আব্দুল হালিম কে ২০ সেপ্টেম্বর হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সাময়িক বরখাস্তের আদেশটি হস্তগত হয়।’ তিনি আরো বলেন, • যতদিন মামলা চলমান থাকবে, ততদিন এই শিক্ষক বরখাস্ত থাকবেন। বরখাস্তের এই সময়টুকু তিনি উপজেলা শিক্ষা কার্যালের হাজিরা দিবেন। কাশিমপুর স্কুলের হালিম সাহেব সাসপেন্ড থাকাকালীন নিম্নলিখিত হারে খোরাকি ভাতা পাবেন। তাঁর মূল বেতনের অর্ধেক ও টিফিন ভাতার সম্পূর্ণ অংশ কর্তন করা হয়েছে। বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা পূর্ণাঙ্গ পাবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিক্ষাভাতা পাবেন।’ পুলিশ ও মামলার বাদী সুত্রে জানা গেছে, ‘টিসি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লম্পট প্রধান শিক্ষক একাধিকবার মেয়েকে যৌনপীড়ন করেছেন। সর্বশেষ গত ২৩ আগষ্ট দুপুরে বিদ্যালয়ের স্টোর কক্ষে নিয়ে মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে শীলতাহানী করে। ওইদিন বাড়িতে এসে মেয়ে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং কান্নাকাটি শুরু করে। জানতে চাইলে মেয়ে শিক্ষকের কুকর্মের কথা জানায়। পরে গত ২ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুমারখালী থানায় মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর মা। মামলা নম্বর ৪। এবিষয়ে মামলার বাদী ও শিক্ষার্থীর মা বলেন, লম্পট শিক্ষার্থী মেয়ের সাথে একাধিকবার খারাপ কাজ করেছে। থানায় মামলা করেছি। মামলা চলমান। এমন প্রধান শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই আমি। ঘটনার পর থেকে মেয়ে ভয়ে আর স্কুলে যায়না।