শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় রাস্তা পারাপার ,এলাকাবাসীর পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ
তাড়াশে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে মহেশরৌহালী রাস্তা পার হতে হয় প্রতিদিন এলাকাবাসীকে। আর এ অবস্থা চলে আসছে অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় ধরে।
তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নে মহেশরৌহালী গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাওয়া এই রাস্তাটি পাকা নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় লোকজন পাকিস্তানের সময় থেকেই। একবছর আগে স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে এখানে রাস্তা নির্মানের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হলেও আর কোন অগ্রগতি হয়নি। মহেশরৌহালী গ্রামবাসীকে এখনও তৈরি করতে হচ্ছে বাঁশের সাঁকো। আর এই সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
মহেশরৌহালী গ্রামের লোকজন জানান, প্রতিবছর জুন মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই পানি থাকে। ফলে তারা রাস্তার উপর স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। এই সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মহেশরৌহালী গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চাকরৌহালী, বিরৌহালী, পংরৌহালী, হামকুড়িয়া, কোনাবাড়ি, এবং নওগাঁর গ্রামের লোকজনকে এই রাস্তা পার হয়ে মহেরৌহালী উচ্চ বিদ্যালয়, মহেরৌহালী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, তাড়াশ উপজেলা সদর, পৌর বাজার, সাব রেজিষ্ট্রি অফিস ও নওগাঁর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই সাঁকো পার হতে গিয়ে নদীতে পড়ে আহত হয়। প্রতিদিন সহ¯্রাধিক লোক এই সাঁকো পারাপার হন। পারাপারের এ দুরাবস্থা চলে আসছে পাকিস্তান আমল থেকেই।
মহেশরৌহালী গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষাক জেছমিন নাহার সাংবাদিক মুন্না তালুকদার জানান, উক্ত রাস্তারটি পাকা নির্মান করার জন্য স্থানীয় লোকজন অনেকবার নওগাঁর ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলায় আবেদন জানিয়েছেন। এক বছর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মজনু মিয়ার সহযোগিতায় তাড়াশ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাঁশের সাঁকোর স্থানটি পরিদর্শন করে একটি পাকা রাস্তা নির্মান প্রকল্প প্রস্তুত করে ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এরপর সম্ভাব্য সেতু নির্মান স্থানের মাটিও পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তারপর আর এব্যাপারে কোন অগ্রগতি এলাকাবাসীর চোখে পড়েনি। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের এই শাখা রাস্তা পারাপারের দুর্ভোগ আজও অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মহেশরৌহালী গ্রামের পাশে রাস্তা নির্মানের প্রকল্প প্রনয়ণ করে তা বাস্তবায়নের জন্য তারা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই রাস্তাটি দেখা হয়েছে হয়েছে। আগামীতে রাস্তাটি নির্মাণ হতে পারে।