বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঈশ্বরগঞ্জে সেতু নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। কালের খবর আসামি গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি সংক্রান্ত পুলিশের সার্কুলার স্থগিত ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সাইনবোর্ড প্রেস ক্লাবের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ বরণ করেছে বিএনপি। কালের খবর জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যােগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত আওয়ামী দোসরদের রক্ষা করতে এখনো স্বেরাচারীদের হয়ে কাজ করছে প্রশাসন। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় ওয়াদুদ ভূইয়ার পক্ষ থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে মিনারেল ওয়াটার ও কলম বিতরণ। কালের খবর রবিনটেক্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও কম্পটেক্স বাংলাদেশ লিমিটেড এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর হামলা। কালের খবর মা‌টিরাঙ্গায় আওয়ামীলী‌গ নেতা আব্দুল কাদের গ্রেফতার। কালের খবর ইসরাইয়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল মাটিরাঙ্গা। কালের খবর
যশোর সদর হাসপাতালে দালালদের কাছে জিম্মি রোগীরা। কালের খবর

যশোর সদর হাসপাতালে দালালদের কাছে জিম্মি রোগীরা। কালের খবর

আবেদ হোসাইন, যশোর সিটি প্রতিনিধি, কালের খবর : যশোর সদর হাসপাতালে কোনো ভাবেই কমছে না দালালের দৌরাত্ম । রোগীদের জিম্মি করে প্রতারণা চলছেই। তাদের দাপটের কাছে অনেকইে অসহায় হয়ে পড়েছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগী। এদিকে, গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে দালালের দৌরাত্ম কমাতে জোরালোভাবে আলোচনা হয়েছিলো। পেশাদার দালালের তালিকা তৈরি করে প্রশাসনের কাছে দেয়ার ব্যাপারে হাপাতাল কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন কমিটির সভাপতি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। কিন্তু নির্দেশের ২ মাস পার হলেও তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু দালাল নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলো। দালালদের কবল থেকে রোগী ও স্বজনদের রক্ষা করতে হাসপাতালের বিভিন্ন কোণে ১০টি প্রচার মাইক বসানো হয়েছিলো। এছাড়া টিকিট কাউন্টারের সামনে স্থাপন করা হয়েছিলো তথ্যকেন্দ্র। মাইকগুলোতে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দালাল বিরোধী প্রচার চালানো হতো।  সময় ভ্রাম্যমান আদালত নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতো। দালালের দাপট ছিলো না বললেই চলে।
অভিযোগ উঠেছে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিযোগকৃত দালালরা  হাসপাতালে তারা ফের প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। রোগী ভাগিয়ে নিয়ে তারা কমিশনে বিক্রি করছে। তাদের সাথে সখ্য রয়েছে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারীর। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ দালালের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছেন। কেননা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে  হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম দীর্ঘদিন থেকেই। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ওষুধ ফার্মেসীর অর্ধশত দালাল সরকারি এই হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের সামনে,  নিচতলার বহির্বিভাগে, গাইনী বহির্বিভাগের সামনে, জরুরি বিভাগের সামনে ছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডে অবস্থান নিচ্ছে দালালরা। সুযোগ বুঝেই রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যায় তারা। যশোর সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম জানান, মেডিসিন ডাক্তার দেখানোর জন্য তিনি সরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন। কাউন্টারের সামনে যেতেই একটি হাত নেই এমন এক যুবক তাকে ডাক্তার দেখানো কথা বলে হাসপাতালের সামনের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়।
 সূত্র জানায়. গত ১২ সেপ্টেম্বর জেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির মিটিং হয়। সেখানে জনপ্রতি, চিকিৎসক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মিটিৎয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে কোনোভাবে দালালের দৌরাত্ম কমানোর। এ সময় জেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন দ্রুত পেশাদার দালালদের তালিকা প্রস্তুত করার। তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তালিকা অনুযায়ী দালালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছিলেন। কিন্তু মিটিংয়ের ২ মাস পার হলেও  অজ্ঞাত কারণে দালালের তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। বর্তমানে বহুগুণে দালালের দাপট বেড়েছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com