রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
নাগরপুরে লেপ- তোষকের দোকানে মৌসুমী ভিড়

নাগরপুরে লেপ- তোষকের দোকানে মৌসুমী ভিড়

নাগরপুর (টাঙ্গাইল)

লেপ- তোষকের দোকানে মৌসুমী ভিড় – ছবি : নয়া শতাব্দী

নাগরপুরে জেকে বসেছে শীত । গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। জেকে বসেছে শীত। শীতের কারণে সুই-সুতা, তুলা আর লাল কাপড় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইলের নাগরপুরের লেপ-তোষকের কারিগররা। প্রাকৃতিক রীতি অনুযায়ী কার্তিকে শীত শুরু হলেও শীতকাল হিসেবে বিবেচিত হয় পৌষ ও মাঘ মাস। গ্রামের মানুষ শীত নিবারণে ভিড় করছেন উপজেলার লেপ-তোষকের দোকানে। ফলে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। প্রায় সব দোকানেই ভিড় করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। এদের কেউ সম্পূর্ণ নতুন আবার কেউ পুরাতন লেপ তোষক দিয়ে ফের নতুন করে বানাতে এসেছেন শীত নিবারণের লেপ-তোষক। এ যেন মৌসুমী ভিড় জমছে শুরু করছে দোকানে।

তিনি আরো বলেন, এ বছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর একটি লেপ-তোষক বিক্রি করে লাভ হয় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। শীতের দুই থেকে তিনমাস আমাদের সিজিন। এই সময়ে লেপ তোষক বিক্রিও যেমন বাড়ে তেমনি কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করেন। তবে বর্তমানে চায়না কম্বল অল্প দামে পাওয়া গেলেও লেপ-তোষকের ব্যবসায় কোনো প্রভাব পড়ছে না বলেও জানান তিনি।

উপজেলার বাবনাপাড়ার বৃদ্ধ শাহজাহান (৭৫) লেপ-তোষকের কারিগর প্রায় ৫০ বছর ধরে এই পেশায় নিয়োজিত। তিনি জানান, একটি লেপ বানাতে পাঁচ কেজি তুলা হলেই যথেষ্ট আর তোষক বানাতে লাগে ১৫ কেজি। তুলা ভেদে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছি সেই তুলা এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই তুলাসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে লেপ-তোষকের দাম খানিকটা বেশি।

একজন কারিগর প্রতিদিন ৩-৬টি করে লেপ বানাতে পারে যাদের প্রতিদিন ৪০০-৭০০ টাকার মতো হাজিরা দিতে হয়। প্রতিটি লেপ আকার ভেদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা, তোষক ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং জাজিম ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খুচরা বিক্রি করা যায়। প্রতিটিতে পারিশ্রমিক আসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর তৈরি লেপ-তোষকের চাহিদা তুলনামূলক বেশি দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের।

লেপ-তোষকের ক্রেতা ডা: এম এ মান্নান বলেন, শীত চলে এসেছে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষদের শীত নিবারণের জন্য লেপ-তোষকের দরকার হয়। গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি চাচ্ছে। আগে যেটি বানিয়েছিলাম সেটির নষ্ট হয়ে গেছে। তাই নতুন করে তোষক বানানোর জন্য অর্ডার দিতে এসেছি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com