প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুর শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করে, ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর হার হ্রাস, শিশুর মানসিক বিকাশ, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, উচ্চশিক্ষা ও পরিপূর্ণ উন্নতির ধারবাহিকতার মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করা এবং শিশুবান্ধব শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিতসহ শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে তিন প্রকল্পের মাধমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলাতে ৮১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ কাজ শেষের পথে। দৃষ্টিনন্দন এ ভবন নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
নবীনগর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০/২০২০-২১ অর্থবছরে চাহিদা ভিত্তিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় ৫২টি এবং চাহিদা ভিত্তিক নতুন জাতীয়করন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় ১৭টি, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (পিইডিপি৪) এর আওতায় ১২টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন নতুন ভবনগুলো ৫৮কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। এরই মধ্যে ৬৬টি বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৫টি বিদ্যালয়ের কাজ চলমান রয়েছে, দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ১৪টি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নবীনগর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে, ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন নতুন ভবন নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। স্কুল ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে শিশুদের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, সংযোগ সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, চিলড্রেন’স প্লে-কর্নার, অগ্নিপ্রতিরোধক ব্যবস্থা, দেয়াল সাজসজ্জাকরণ সহ নানা উপকরন। প্রতিটি ক্লাস রুমে ৪০ জন করে শিক্ষার্থীর বসার আসন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নবীনগর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, উন্নত পরিবেশে শিক্ষাদানের বিষয় বিবেচনায় রেখে বিদ্যালয়ের ভবনগুলোকে আধুনিক ডিজাইনে নির্মাণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন নতুন ভবন নির্মানের ফলে শিশুরা বিদ্যালয়মুখী হবে। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হারও বৃদ্ধি পাবে।