বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পূর্বগ্রাম ব্লাড ডোনার গ্রুপের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। কালের খবর ব্রয়লারের চেয়ে চাহিদা বেশি বাউ মুরগির, খুশি খামারিরা নবীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই সহোদর চাচাতো বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু। কালের খবর প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ। অটো মালিক, শ্রমিক সমিতির চেক বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। কালের খবর মুরাদনগরে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় ইমাম ও মোয়ােজ্জম নিয়ে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর সম্পত্তির লোভে পিতাহারা অবুঝ সন্তানের সাথে মায়ের পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা। কালের খবর যথাযথ মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর ডেমরায় সাংবাদিকদের মিলনমেলা। কালের খবর মুরাদনগরে জাতীয় দিবস গুলোতে ফুল দেয় না উপজেলা আওয়ামী লীগ। কালের খবর
হাটহাজারীতে চলছে অবৈধ করাত কল। কালের খবর

হাটহাজারীতে চলছে অবৈধ করাত কল। কালের খবর

হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠছে করাত কল। পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র ও লাইনেন্স ছাড়াই যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে প্রায় ৪০টি ‘স’ মিল।

স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় নজরধারী না থাকায় এ উপজেলায় যন্ত্রতন্ত্র গড়ে উটে এ সব ‘স’ মিল বা করাত কল। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ। এই উপজেলায় বেশিরভাগ ‘স’ মিলের নেই কোন অনুমতি।
‘স’ মিল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের লাইসেন্স পাওয়ার পর নিতে হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, এ ছাড়া যেখানে-সেখানে ‘স’ মিল স্থাপন করা যাবে না। বর্তমানে হাটহাজারী উপজেলার যেখানে-সেখানে ‘স’ মিল স্থাপনের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ।
‘স’ মিল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২-এর আইনে পরিস্কার উল্লেখ রয়েছে করাত কল স্থাপন বা পরিচালনা করতে হলে লাইসেন্স বাবদ নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় সব অনুমতি নিয়ে ‘স’ মিল স্থাপন বা চালু করতে হবে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সুবেদার পুকুরপাড়, ইছাপুর, নন্দীরহাট, পৌরসভাসহ সরকারহাট, আমান বাজার, মনিয়া পুকুরপাড়, কাটিরহাট, নাজিরহাট, মদুনাঘাট, শিকারপুরসহ আরো বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে বহু অবৈধ করাত কল। কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযান না করার ফলে এক দিকে সরকার হারাচ্ছে বড় মাপের রাজস্ব অপর দিকে নষ্ট করছে পরিবেশ।
করাতকল মালিক কবির আহমদের কাছে অনুমোদন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি আবেদন করেছি। তবে অনুমোদন পেয়েছেন কিনা তা জানাননি। বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
এই ব্যাপারে বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. ফজলুল কাদের জানান, হাটহাজারীতে যত করাত কল রয়েছে তার মধ্যে মাত্র ৯টির অনুমোদন থাকলেও মেয়াদকাল আছে কিনা তা জানেনা। তবে যাদের মেয়াদ নাই ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।
এ দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলমের সাথে কথা বলে জানা যায় ‘স’ মিলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে ‘স’ মিল স্থাপন বা চালানোর কোন সুযোগ নেই। অবৈধ করাত কল থাকলে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে বন বিভাগ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার যখন অভিযান পরিচালনা করবেন তখন ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com