রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
আহমেদ সাজু (সখীপুর) টাঙ্গাইল, কালের খবর : টাঙ্গাইলের সখীপুরে সুলতানা খাতুন (২৮) নামের এক নারী স্ত্রীর অধিকার আদায়ে বিষের বোতল আর কাবিন নামা হাতে নিয়ে গত তিনদিন তিনরাত ধরে স্বামীর বাড়ির বারান্দায় বসে আছেন। গত ৩১জুলাই শনিবার থেকে উপজেলার দাড়িয়াপুর দক্ষিণপাড়া ফাইলা পাগলার মাজার এলাকায় স্বকৃতির আদায়ের এ অনশন চলছে। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে তিনি এখানেই বিষপানে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান।ওই নারী টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সদরের আজগর আলীর মেয়ে। খবর শুনে দল বেধে আশপাশের লোকজন ওই নারী কে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন।
জানা যায়, উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর ফাইলা পাগলার মাজার এলাকার মৃত মোজাফর মিয়ার ছেলে আবদুর রহিম মিয়ার সঙ্গে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সদরের আজগর আলীর মেয়ে সুলতানা খাতুনের (২৮) গাজীপুর চৌরাস্তায় সেবা এনজিও নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই এনজিওতে সুলতানা ছিল মাঠকর্মী আর রহিম ছিল সহকারী ম্যানেজার। উভয়ের সম্মতিতে তারা ২০১৭ সালের ৩ই আগষ্ট ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। সেই থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গাজীপুর চৌরাস্তার ভাওয়াল কলেজ সংলগ্ন আক্কাছ আলীর বাসায় ভাড়া থাকতেন। কিছুদিন আগে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রহিম বাসা থেকে চলে আসেন এবং তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের নম্বর পাল্টিয়ে গ্রামের বাড়ি দাড়িয়াপুরে চলে আসেন। পরবর্তীতে ওই নারী রহিমের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন। পরে ঠিকানা মোতাবেক ৩১ জুলাই শনিবার স্ত্রীর স্বকৃতির আদায়ে কাবিননামা এবং বিষের বোতল হাতে নিয়ে স্বামীর বাড়ি চলে আসেন। তার আসার খবর শুনে রহিম ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে অন্যত্র চলে যান। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিন আহমেদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবদুর রহিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ওই নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেন।
৭নং দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার আলী আসিফ বলেন, বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে আগামি ৪ আগস্ট বুধবার স্বামী রহিমসহ উভয়পক্ষের লোকজন ডেকে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।