রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন
আহমেদ সাজু (সখীপুর) টাঙ্গাইল, কালের খবর : টাঙ্গাইলের সখীপুরে পশু কোরবানি দেওয়ার সময় এবং মাংস কাটতে গিয়ে পৃথক ঘটনায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক নারী গরুর লাথি খেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরাও হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা শারমিন সেলিম জ্যোতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গুরুতর আহত ওই নারীকেও প্রথম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি চোখে আঘাত পেয়েছেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ওই নারীর বাড়ি উপজেলার বাগবেড় গ্রামে। তাঁর নাম শুভ খাতুন (৩৫)। আহত বাকিরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। শুভ খাতুনের ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে কোরবানির জন্য একটি গরু মাঠে নেওয়ার সময় লাথির আঘাতে তাঁর মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মাংস কাটার সময় আহত হয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন উপজেলার কচুয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩০)। চাপাতির কোপে তাঁর বাম হাতের তর্জনী কেটে পড়ে যায়। তাঁকেও প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
স্বজনদের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানান, কোরবানির মাঠে চাপাতি দিয়ে মাংস কাটছিলেন নজরুল। একপর্যায়ে চাপাতির কোপে তাঁর বাম হাতের তর্জনী কেটে পড়ে যায়। পরে স্বজনেরা তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।
মোস্তফা কামাল জানান, শুধু মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও ১১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।