উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামূল ছিদ্দিক বিষয়টি তদন্তে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুলকে প্রধান করে এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন এবং দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

অভিযোগে বলা হয়, স্কুলের মেরামত ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খরচের জন্য সরকার উন্নয়ন খাতে বছরে দু’বার অনুদানের (স্লিপ) টাকা দেয়। সম্প্রতি স্লিপের ৩৫ হাজার টাকা তুলে কোনো উন্নয়ন খাতে খরচ না করেই স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেন। সভাপতি মহিউদ্দিন চাকরির কারণে ঢাকায় অবস্থান করেন বলে তার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন সরকার স্কুল পরিচালনা করছেন। তবে ম্যানেজিং কমিটির কোনো সভা হয় না, কমিটির অনেক সদস্যই কিছুই জানেন না।

প্রধান শিক্ষক সাহারা খাতুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্লিপের টাকা বরাবরই স্কুলের আনুষঙ্গিক ও উন্নয়নে খরচ হয়। স্লিপের কিছু টাকা আনুষঙ্গিক কাজে ব্যয় হয়েছে, বাকি ১০ হাজার টাকা সভাপতি ঢাকা থাকায় তার বাবা বাহাউদ্দীন নিয়েছেন স্কুলের দরজা-জানালা ঠিক করার জন্য। স্কুলের এ উন্নয়ন কাজের জন্য ৭ জুলাই (বুধবার) দিন আমরা মিটিং করেছি।

এ বিষয়ে সভাপতি মহিউদ্দিন সরকার বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা জানুয়ারিতে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি পেয়েছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। কমিটি পেয়ে আমরা প্রথম একটা মিটিং করেছি। পরে স্লিপের টাকা পেয়ে স্কুল উন্নয়নের জন্য ৭ জুলাই (বুধবার) আমরা আরেকটি মিটিং করে কী কী কাজ করা হবে তার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।