সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জ থেকে সুলতান মাম্মুদ, কালের খবর :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে খোয়াই নদীতে ঘের দিয়ে অবাধে চলছে মাছ নিধন। এতে করে একদিকে যেমন কমছে মাছ উৎপাদন ও অন্যদিকে নস্ট হচ্ছে নদীর সৌন্দর্য। সরজমিনে দেখা যায় যে, খোয়াই নদীতে চারদিকে বাশ দিয়ে বেড় দেয়া হয়েছে, পরে চারপাশে জাল ফেলা হয়েছে, যাতে আটকা পড়ে পোনা মাছ সহ মা মাছ। রাতে কখনো কখনো বা দিনে অবাধেই মাছ শিকার করছেন স্থানীয় জেলেরা। খোজ নিয়ে জানা যায়, খোয়াই নদীতে এভাবে বেড় দিয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শিকার করা হচ্ছে মাছ।
প্রতি বছরই এভাবে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে মাছ ধরা হলে ও এতে মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হলেও প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই উপজেলার খোয়াই নদীর নতুনব্রীজ থেকে জগতপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অবৈধ পন্থায় মাছ ধরা হয়। এ বছরও প্রায় শতাধিক স্থানে নদীর দুই পাশের জায়গা দখল করে মাছ ধরা হচ্ছে। চারদিকে বাঁশ পুঁতে মাঝখানে গাছের ডালপালা ফেলে ওই স্থানে খাবার দিয়ে মা মাছসহ পোনা জড়ো করা হয়। পরে জাল দিয়ে চারদিক ঘিরে ফেলে মাছ শিকার করা হয়। ছোট ছিদ্রযুক্ত এসব জালে মা ও পোনা মাছসহ সব ধরনের মাছ আটকা পড়ে।
নদীতে প্রায় শতাধিক স্থানে মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয় মহৎজীবী খেলু মিয়া জানান, নদী এক সময় অনেক মাছ ছিল। প্রচুর মাছ ধরা পড়ত। এই মাছ বিক্রি করেই চলতো তাদের সংসার। কিন্তু এখন নদীতে মাছ ধরতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। নদীতে ঘের তৈরী করার ফলে মাছও পাওয়া যায়না আগেরমত।
নদীর কোথাও তীরবর্তী, কোথাও কোথাও মাঝ–নদীতে ডালপালা, বাঁশ ফেলে ঘের তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঘের মালিক জানান,এলাকার অনেকেই ঘের তৈরি করে মাছ ধরে। আমিও তাই ঘের তৈরি করেছি। প্রশাসন থেকেও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন ঘের দিয়ে মাছ শিকার মৎস্য আইনে সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। আমরা তাদেরকে মাইকিং করে সতর্ক করবো। সতর্ক না হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে অভিযানে নামবো ।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোঃ মিনহাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা দ্রুত নেয়া হবে।
কিছুদিন আগে নদীতে বাধঁ দিয়ে মাছ শিকার করায় একজনকে জরিমানাও করেছি