শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর জুলাইয়ের শহীদ পরিবারদেরকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নবীউল্লা নবীর আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য বিতরণ। কালের খবর
ঝিনাইদহের কোঁটচাদপুরে তেল ও পাথর বাহী ট্রেনের সংঘর্ষ ৫ তেল ট্যাংকার লাইনচ্যুত। কালের খবর

ঝিনাইদহের কোঁটচাদপুরে তেল ও পাথর বাহী ট্রেনের সংঘর্ষ ৫ তেল ট্যাংকার লাইনচ্যুত। কালের খবর

 সাঈদুর রহমান,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি।। কালের খবর  :
ঝিনাইদহের কোটচাদপুরের সাফদারপুর রেল স্টেশনে পাথর ও তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি তেলের বিটিও বগি লাইনচ্যুত হয়। এরমধ্যে তিনটি ট্যাংক ফেটে দেড় লাখ লিটার তেল মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছে। বাকি দু’টি ট্যাংক সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সোমবার দিবাগত রাত ১.৪২ মিনিটে এ দূর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনার পর রাতেই পাথারবাহী ট্রেনটি দর্শনা রেল স্টেশনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এতে খুলনার সাথে সারা দেশের ১০ ঘন্টা ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল। রেল কর্মীদের চেষ্টায় মঙ্গলবার বেলা ১১.৪৫ মিনিটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর রেলস্টেশনের প্লাটফর্মের পূর্ব প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে। রাতে ট্রেন দু’টির মুখোমুখি সংঘর্ষের বিকট শব্দে আশপাশের লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। এ সময় তারা দেখেন তেলবাহী ট্রেনের তিনটি কন্টেইনার লাইনের ধারে উল্টে পড়ে আছে। কন্টেইনার ফেটে তেল পড়ে আশপাশের গর্তে ¯্রােত বয়ে যােেচ্ছ। এসময় তারা বাড়ি থেকে হাড়ি পাতিল এনে তেল ভরে নিয়ে যান। এদিকে এই ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে রেলওয়ের পাঁকশী সহকারী ট্রাফিক অফিসার আব্দুস সোবহানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা দূর্ঘটনার কারন জানতে কাজ শুরু করেছেন। এদিকে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পাবনার ঈশ^রদী থেকে ১২০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। দির্ঘ প্রায় ১০ ঘন্টা চেষ্টার পর মঙ্গলবার বেলা ১১.৪৫ মিনিটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। এদিকে দূর্ঘটনার পর শনিবার খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস বারোবাজারে এবং রুপাসা এক্সপ্রেস এবং ঢাকাগামি চিত্রা এক্সপ্রেস যশোর স্টেশনে দাড়িয়ে ছিল। অপরদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা এবং বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি দর্শনা স্টেশনে দাড় করিয়ে রাখা হয়। ফলে দুর্পাল্লার যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেককে বিকল্প গাড়িতে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে দেখা যায়। যদিও ধারনার থেকে অনেক দ্রুতই ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয় উদ্ধার কাজে যোগ দেওয়া রেল কর্মীরা। উদ্ধার কাজে যোগ দেওয়া রেল মিস্ত্রি সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা আগে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ করছি। পড়ে যাওয়া তেলের বগি রেল লাইনের পাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে। পরে ব্লক পেলে রাতে অথবা দিনের যে কোন সময় উদ্ধার কাজ করা হবে। তবে ফেটে যাওয়া তিনটি কনটেইনার পরিত্যাক্ত হতে পারে বলে যোগ করেন এই তরুণ মিস্ত্রি। ঝিনাইদহে কোটচাদপুর সাফদারপুর স্টেশনের মাস্টার গোলাম মোস্তফা জানান, দর্শনা থেকে নওয়াপাড়াগামী পাথরবাহী ডিজেএন-২৬ ডাউন ট্রেন সাফদারপুর স্টেশনে এসে দাড়িয়ে ছিল। রাতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ডিজেলবাহী কেপি-২১ আপ ট্রেনটি পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল। রাত ১.৪২ মিনিটের সময় কোটচাদপুর উপজেলার সাফদারপুর স্টেশনে আসলে চালক সিগনাল না মেনে দাড়িয়ে থাকা ট্রেনে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় বিকট শব্দে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি ট্যাংক লাইন থেকে ছিটকে পাশে পড়ে যায়। এরমধ্যে তিনটি তেলের ট্যাংক ফেটে তেল মাটিতে পড়ে যায়। এরপর থবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার েিদক পাবনার ঈশ^রদী থেকে রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। দির্ঘ ১০ ঘন্টা চেষ্টার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে কোঁটচাদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনটি ট্যাংকারের তেল প্রায় সম্পুর্ণ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটিতে ৫০ হাজার লিটার তেল থাকে। এটি অত্যন্ত দাহ্য। যে কোন সময় চারিদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আমরা রেললাইন ও আশপাশে পানি ছিটাচ্ছি এবং সবাইকে সতর্ক থাকতে বলছি। যেন কেউ কোন রকমেই আগুন জাতীয় কিছু ব্যবহার না করে। কারো ভুল হলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান এই ফায়ার কর্তা।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com