সিলেটে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চলছে সিগারেটের বাজারজাতকরণ। সমগ্র সিলেট বিভাগে একশ্রেণীর ব্যাক্তি রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে গুটিকয়েক নেতাদের সহযোগিতায় ও অসাধু ব্যবসায়ী নেতাদের যোগসাজশে চলছে এসব অবৈধ সিগারেটের রমরমা ব্যবসা।
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন যাবত গোপনে দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে নিম্নমানের অবৈধ সিগারেট সিলেট জেলা সহ, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে, হাটে, বাজার, পল্লী গ্রামে, চলছে এসব অবৈধ সিগারেটের বাজারজাতকরণ।
এসব অবৈধ সিগারেটের অনুসন্ধান এগিয়ে আমাদের প্রতিনিধির চোখে পড়ে, Heritage Tobaccor সিগারেট সিটি গোল্ড, CITI GOLD, ও ম্যানশান Mansun,নামের সিগারেট বাজারজাত হচ্ছে।
অনুসন্ধানের স্বার্থে ১০ প্যাকেট সিগারেট দোকানদার সেজে সংগ্রহ করা হয় যা প্রতিটি প্যাকেট ২০ শলাকার,।১০ প্যাকেট সিগারেটের মূল্য রাখা হয় ২৬০ টাকা । এখন প্রশ্ন জাগে সরকারের রাজস্ব দিতে হচ্ছে প্রতি প্যাকেটে ২৭ টাকা, বিক্রি করা হয় কিন্তু ২৬ টাকা, যা প্রতিটি প্যাকেটে লেখা থাকে মুল্য ৭৮ টাকা, কিন্তু প্রতিটি প্যাকেট ২৬ টাকা বিক্রি করে কোম্পানির মুনাফা কিভাবে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক খুচরা দোকানদার আমাদের প্রতিনিধিকে জানান সিগারেট আমাদেরকে দেবার সময় বারবার বলে দিয়েছে খুব সতর্কভাবে বিক্রি করার জন্য তখনই আমাদের সন্দেহ জাগে সিগারেটগুলো অবৈধ কিনা কোম্পানির লোকেরা আমাদের কে বলেছেন এগুলো নাকি মার্কেট ধরানোর জন্য কোম্পানির এই লস শিকার করা।
আমাদের প্রতিনিধির অনুসন্ধানে বেশ কয়েকটি অবৈধ সিগারেট বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্যানারে বাজারজাত হচ্ছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এ দুটি ব্রান্ডের সিগারেট । জামিল সেল্স ডিস্ট্রিবিউশনের এবং পরিবেশক মেসার্স বিসমিল্লাহ স্টোর এর ব্যানারে সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে সিটি গোল্ড ও ম্যানসান।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, শুধু সিলেটে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ টাকার সিগারেট অবৈধভাবে বিক্রি হয়ে থাকে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে সিলেট কাস্টমস অফিসে যোগাযোগ করলে রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সামসাদ হোসাইন জানান, সিটি গোল্ড, ম্যনশান সম্পর্কে তারা অবগত রয়েছে। তিনি বলেন উৎপাদিত সিগারেটের শুল্ক ও ভ্যাট দেন কিনা এটা সম্পূর্ণ ঢাকা হেড অফিস জানাতে পারবে।
তবে শুল্ক ফাকিঁ দেন কিনা এতটা চেক দেয়া সম্ভব হয়না। তারা সংবাদ পেলে প্রায়ই অভিযান দিয়ে এসব অবৈধ সিগারেট জব্দসহ অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান। কিছুদিন আগেও ২০ হাজার সিটি গোল্ড সিগারেট জব্দ করেছেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জামিল গ্রুপের আর এম বুরহানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, সিটি গোল্ড, ও ম্যানসান, এ ২টি সিগারেট সম্পূর্ণ বৈধভাবে সরকার অনুমতি দিয়েছে।
এ বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি আর এম বুরহানকে প্যাকেট প্রতি সিগারেটের মুল্য দোকানে ২৬ টাকা দরে বিক্রি করে কিভাবে ২৭ টাকা গভমেন্টকে রাজস্ব দেওয়া সম্ভব, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা এড়িয়ে গিয়ে বলেন আপনার সাথে সরাসরি কথা বলব, আপনার সাথে দেখা করতে চাই।
এ বিষয়ে রুপম নামের এক যুবলীগ নেতা তিনি নিজেকে মহানগর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং সিটি গোল্ড, এবং ম্যানসান সিগারেটের ডিপোর মালিক বলে দাবী করেন। তিনি উৎপাদিত সিগারেটের শুল্ক ফাঁকির কথা অস্বীকার করে বলেন নিউজ করে কোন কিছু করতে পারবেননা ১১ দিন হয়েছে সরকার অনুমতি দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে তিনি কোন পেপারস দেখাননি। কারখানার বৈধ লাইসেন্স ও যাবতীয় কাগজপত্র আছে বলে তিনি দাবী করেন।