রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
নারায়ণগঞ্জে সোর্সদের মাদক ব্যবসা। কালের খবর

নারায়ণগঞ্জে সোর্সদের মাদক ব্যবসা। কালের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর  :

বিশ্বজুড়ে করোনার তান্ডবে সব সমিকরনই পাল্টে গেছে। কালো কারবারি, হত্যা, গুম, খুন, রাষ্ট্র বিরোধি কার্যকলাপ মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরি চলছেই।করোনা মহামারি কালেও থেমেনেই এসব পেশা শ্রেনীর মানুষগুলো। এসকল অপরাধগুলোর মধ্যে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
সূত্রানুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লা থানাধীন এলাকার মধ্যবর্তী এলাকাগুলোতে, গড়ে উঠেছে মাদকের বিশাল আখড়া । শহরের খানপুর, সর্দারপাড়া, তল্লা রেললাইন, হাজিগঞ্জ, চানমারি, সবুজবাগ, পশ্চিম তল্লা। এই এলাকাগুলোতে হাত বাড়ালইে পাওয়া যাচ্ছে সকল প্রকার মরন নেশা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড়শতাধীক মাদক বিক্রেতা রয়েছে এখানে। এরা মোবাইলের মাধ্যমে ফেড়িকরে খুব সহজেই গ্রাহকের কাছে মাদক পৌছে দিচ্ছে। ঘনিষ্ঠ স্ত্রূটি জানিয়েছে, এদের মধ্যে হত্যা সহ অসংখ্য মাদক মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত ফেরারী আসামিও রয়েছে। আর এদেরকে মাদকের বড় বড় চালানদিয়ে জোগান দিচ্ছে নেপথ্যে থাকা পুলিশের সোর্স পরিয়ধারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খানপুর সর্দারপাড়ার বেশকিছু উঠতি বয়সের যুবক জানিয়েছে, এসমস্ত মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য এলাকার মেয়েরা ঠিকমতো স্কুল কলেজে যেতে পাড়ছেনা। এলাকার গলিতে গলিতে বহিরাগতদের যাতায়াত বেড়েছে। যার ফলে চুরি, ছিনতাই ও হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে শাহিন নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা যে মাদক বেচি ঠিক আছে। কিন্তু মাদক কিনার জন্য কোন জায়গায় যাওন লাগেনা। ঘরে বইয়াই পাই। আবার জাগো কাছ থেকে লই হেগো না লইলে পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব দিয়া হয়রানি করে (সোর্স)। পুলা পাইনরে ধরাইয়া দেয়। শাহিনের কাছ থেকে জানা যায়, অপরাধ জগতে ধরাছোয়ার বাইরে থাকা এমন একজন মাদক সম্রাটের নাম যিনি বরিশাইল্লা জিকু বা টোকাই জিকু নামে পরিচিত। তিনি জানান, রেললাইনের জিকু, দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। বরিশাইল্লা জিকুর কাছ থেকে মাদক কিনতে না চাইলে বা টাকা দিতে দেরি হলে, জিকু প্রশাসনের হুমকি দেয়। তারা বলে, কোন কাহিনি কইরোনা। ঘড়ের থেকে গুস্টি শুইদ্দা দইরা লইয়া যাইবো। শাহিন আরও জানান, ব্যবসার লেনদেনের ব্যপারে বরিশাইল্লা জিকুর সাথে সব সময় মােবাইল ফোনে কথা হয়। টোকাই জিকুর সাথে কথা হওয়া এমন কিছু কল রেকর্ড আছে তার কাছে। পুলিশের সোর্স মাদক ব্যবসায়ী টোকাই জিকু শাহিনের কাছ থেকে বড় ধড়নের স্বার্থ হাসিল করতে না পাড়ায়, নতুন করে প্ল্যানিং করে। অপরাধ জগতের আরেক মাদক সম্রাট গুল্লি জনিকে নিয়ে। আর জিকুর প্ল্যানিং মোতাবেক গেলো আগস্টের ৮ তারিখ শাহিনকে গুল্লি জনি ও তার দলবল হামলা চালায়। অল্পের জন্য বেচে গেলেও শাহিনের গলায় ও বাম বুকের পাজরে সেলাই লেগেছে ২৪টি। এ ব্যপারে আহত আগে শাহিনের পরিবারের সদস্যরা জানায়, আগে শাহীন সুস্থ্য হোক। পরে সকলে জানতে পারবে মামলা হবে নাকি হামলা হবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com