রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
কালের খবর : মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি বৃস্পতিবার। এ পরীক্ষায় দেশের তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে বসছে ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন পরীক্ষার্থী। সকালের পরীক্ষা ১০টা থেকে বেলা ১টা এবং বিকেলে ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
গতবছর এই পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন। এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন। প্রথমদিন এসএসসির বাংলা (আবশ্যিক) ১ম পত্র এবং দাখিলের কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন এবং কারিগরিতে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থী রয়েছে। এরমধ্যে দশ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র ও ছাত্রী দশ লাখ আট হাজার ৬৮৭ জন।
পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফেইসবুকের ব্যাপারে যারা আমাদের সরকারি দায়িত্ব পালন করেন, তাদের সাথে আমরা আলাপ করেছি। এমনকি বিটিআরসি (টেলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা) চেয়ারম্যানসহ অন্য যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা আমাদের সমস্যাটা বলেছি, যে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানাভাবে এটা (প্রশ্নপত্র) ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে, একে অন্যের মধ্যে দেয়ার চেষ্টা করে, এটার ব্যাপারে আপনারা সাহায্য করতে পারেন।
পরীক্ষার সময় সীমিত সময়ের জন্য ফেইসবুক বন্ধ রাখবে কি রাখবে না এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেটাও তারা (বিটিআরসি) অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ ব্যাপারটি আমরা তাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তারা খুবই পজিটিভলি সাহায্য করার জন্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। তারা তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন, আমরা সাহায্য পাব।
গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। বিশেষ করে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ছে। পরীক্ষার দিন সকালে বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ ও গ্রুপে প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরও মিলছে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এই প্রশ্নের পেছনে দৌড়াচ্ছে।
কোচিং সেন্টারগুলো পরীক্ষার সাত দিন আগে থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পুলিশকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। যদি খোলা থাকে তবে বিষয়টা পুলিশকে আবারো জানাব যাতে ব্যবস্থা নিতে পারে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস বা গুজব সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দুস্কৃতিকারীদের ধরিয়ে দেবেন বা প্রতিহত করবেন, যাতে সমাজে শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে। শিক্ষক-অভিভাবকের প্রতি অনুরোধ জানাব, এমন পথে যাবেন না যাতে জীবন-ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে।’
এবার ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কিছু কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে দাবি করে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন, তারা বলেছেন এটা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে তারা আরো অ্যাফেক্টিভ কতগুলো ব্যবস্থা নেবেন। সেগুলো আমি এখানে বলতে চাই না।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি মামলার রায় রয়েছে, ওই সময়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হলে মন্ত্রলায় কী উদ্যোগ নেবে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। আমরা পরীক্ষা নিয়েছি ২০১৪ ও ১৫ সালে, খুবই কঠিন অবস্থায় ধৈর্য্যর সাথে মোকাবেলা করেছি, বন্ধের দিনগুলোতে পরীক্ষা নিয়েছি।