বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি, কালের খবর :
খাবার দিতে দেরি হওয়ায় কথা কাটাকাটির পর ঘটলো মারামারি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও রক্ষা করতে পারেনি বিয়ে। এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তে উপজেলার সরকার হাট এলাকার আল-আমিন কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আনোয়ারা থানার এসআই শামসুজ্জামান বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মারামারির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। দু’পক্ষকে শান্ত করি। কিন্তু বরপক্ষের আচরণে কনেপক্ষ মেয়ে দিতে রাজি হয়নি। তাই বরপক্ষ বিয়ে না পড়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে ১৮ই ফেব্রুয়ারি দু’পক্ষকে থানায় আসতে বলেছি। পুলিশ জানায়, আনোয়ারা উপজেলার মহতর পাড়া গ্রামের শরীফ মেম্বারের বাড়ির রবিউল হোসেনের ছেলে মো. রুবেলের সঙ্গে বাঁশখালী বেলগাঁও গ্রামের হারুনের বাড়ি আব্দুল মোতালবের মেয়ে শাবনুর আকতারের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান চলার একপর্যায়ে বর আসে। বর আসার পর বরকে এবং বরের মাকে খাবার দিতে দেরি হওয়ায় বরের ভাই সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে মারামারি শুরু করে। এক পর্যায়ে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ মারামারি থামানোর চেষ্টা করেও না পারায় পুলিশকে ফোন দেয়। পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই।
এ বিষয়ে শাবনুরের মামা গুরা মিয়া বলেন, খাওয়ার জন্য মানুষ এরকম করে, আর দেখি নাই। বর আসার পর ভাত দিতে দেরী হওয়ায় তার ভাই লঙ্কা কাণ্ড করে ফেলছে। আমাদের কয়েকজনকে মেরে আহত করেছে। তারপরও আমরা শান্ত থেকেছি। কিন্তু বরের ভাই, বাবাসহ কেউ শান্ত না হওয়ায় পুলিশ এসে দু’পক্ষকে সমঝোতায় আনতে চেয়েছিল। তবে তাদের আচরণ দেখে আমরা মেয়েকে তুলে দিইনি। প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ করছি। ৫০ হাজার টাকার ফার্নিচার আগে বরের বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। ঘটনার ব্যাপারে বরের ভাই সোহেল বলেন, আমার ভাই আসার ২ ঘণ্টা পরও ভাত দিচ্ছে না, তাই একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। এজন্য নাকি ওরা মেয়ে দিবে না। মেয়ের পক্ষ হয়ে এত অহংকার কিসের, তাই আমরাও আনি নাই। মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।