শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে লাভবান কৃষক, খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর তীব্র গরমে পথচারীদের সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর
সেতুটি ফাঁকা মাঠে দাঁড়িয়ে থাকলেও দেখার কেউ নেই। কালের খবর

সেতুটি ফাঁকা মাঠে দাঁড়িয়ে থাকলেও দেখার কেউ নেই। কালের খবর

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি, কালের খবর : দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্তের দুই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচল সুবিধার্থে ২০১৪ সালে জনস্বার্থে গ্রামীণ মাটির সড়কে নির্মাণ করা হয়েছিলো একটি সেতু। কিন্তু তারপর থেকেই ওই সড়কটি যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। লিয়াকতগঞ্জ (পশ্চিম বাংলাবাজার)- বোগলাবাজার সড়কের ইদ্রিসপুর গ্রামের অংশে প্রায় ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এই সেতু। নির্মাণের পর পরই পাহাড়ি ঢলে সেতুর দুই অংশের মাটি সরে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়কের সঙ্গে দুই দিকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে শুরু থেকেই উপজেলার লক্ষ্মীপুর ও বোগলাবাজার দুই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষজন প্রতিনিয়ত চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পোহাচ্ছেন। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সেতুটি ফাঁকা মাঠে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেও যেন কেউ দেখার নেই। সেই থেকে শুষ্ক মৌসুমে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই এলাকার মানুষ। বর্ষাকালে সড়কের সঙ্গে সেতুটির সংযোগ না থাকায় সীমান্ত এলাকার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

মূলত নির্মাণের পর সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরজমিন গিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খাসিয়ামারা নদীর তীরবর্তী গ্রাম বক্তারপুর হতে বোগলাবাজার পর্যন্ত সড়কের ইদ্রিসপুর গ্রামের নিকটবর্তী অংশে সেতু নির্মাণের পরই পাহাঢ়ীঢলে সেতুর দুই দিকের সড়ক ভেঙে যায়। উজানের পানি নিষ্কাশনের জন্য কাঁচা সড়কে এই সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেতু নির্মাণ এবং পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা হয়নি। ফলে এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। ইদ্রিসপুর গ্রামের মনির হোসের বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকার অবগত করলেও এই সংযোগ সড়কের সেতুটিতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে না। ফলে এই গ্রামের লোকজনদের বিকল্প রাস্তায় চলাচল করতে হয়। বর্ষাকালে এই এলাকার মানুষের চলাচলে ভোগান্তির অন্ত নেই। বক্তারপুর গ্রামের হাবিল মিয়া বলেন, সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এ পথে চলাচল করতে পারছি না। এলাকার শ’ শ’ মানুষকে বিকল্প সড়ক ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে আমরা নানা ধরনের দুর্ভোগে পড়েছি। সড়কে মাটি ভরাট করা হলে মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে। লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমীরুল হক বলেন, সেতুটি নির্মাণের পর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়ার পর মাটি ভরাটের জন্য কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই এখনো মাটি ভরাট করা যায়নি। ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এছাড়া অনেক দিন ধরেই স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে এখানকার সেতুটির এমন অবস্থার কথা জানিয়ে আসছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে জানতে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোনিয়া সুলতানার সঙ্গে মঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com