সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি, কালের খবর :
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বড়মানিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ফেসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক নির্মিত তিন কক্ষ বিশিষ্ট একমাত্র পাকা ভবনটির ছাদ সংস্কারের অভাবে খসে পড়ছে। প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস করছে। টিনশেডের ৭টি কক্ষ থাকলেও সেগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভাঙা টিনের ফুটো দিয়ে ঘরের ভেতরে পানি পড়ে। ছাত্রছাত্রীদের বই-খাতাপত্র ভিজে যায়। ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাঠদান বন্ধ রাখতে হয় বৃষ্টির সময়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়নুল ইসলাম জানান, বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে প্রায় ৪৫০ জনের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। প্রতি বছর দেড় শতাধিক ছাত্রছাত্রী জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়, ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন করে।
স্কাউটিং, খেলাধুলা ও সহপাঠ্যক্রমে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আধিপত্য সবসময় লক্ষণীয়। বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষের অভাব, হলরুম না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা সহপাঠ্যক্রম বিষয়গুলো বাইরেই করে থাকে। ১৯৯৫ সালে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি ভবন ছাড়া সরকারি কোনো ভবন বা কক্ষ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। সংস্কারের অভাবে এই ভবনের ৩টি কক্ষই ড্যামেজ হয়েছে। ছাদের প্লাস্টার চাবলা খুলে পড়ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সকলেই ভীত থাকে। তিনি বলেন, স্থানীয় উদ্যোগে টিন শেডের ৭টি রুম তৈরি করা হলেও এখন সেগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটো দিয়ে ঘরের ভিতর পানি পড়ে। ছাত্রছাত্রীদের বই-খাতাপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায় বছরে কয়েকবার। ফলে বৃষ্টির সময় অধিকাংশ দিন শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। বিদ্যালয়ের সভাপতি রায়হান মনু জানান, পঁচানব্বইয়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও উদ্বাস্তু শিবির দেখার জন্য এই বিদ্যালয়ে এসেছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর ব্যাপকতা ও শৃঙ্খলা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। পাশাপাশি বিদ্যালয় ভবনের দৈন্যদশা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। প্রস্তাবকালে তিনি বলেছিলেন ‘আমরা যদি কোনোদিন ক্ষমতায় আসি, এই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন করব ইনশাআল্লাহ’। বর্তমান সরকারের শিক্ষাবান্ধব নীতির কারণে এ এলাকার সকল বিদ্যালয়ে ফ্যাসিলিটিজ ও সেসিপ-এর বহুতল ভবন নির্মাণ, প্রায় সমাপ্তির পথে, শুধুমাত্র এ বড়মানিকা উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়া। চলতি বছর নতুন ভবন অথবা শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করতে না পারলে ২০২০ সালের সেশনে নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট মহল।
মতামত দিন