রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, কালের খবর : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শুরু হওয়া যমুনা নদীতে ভাঙনরোধে নিন্মমানের জিওব্যাগ ফেলানোর অভিযোগ উঠেছে। জিওব্যাগে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভর্তি করে ভাঙনকবলিত এলাকায় ফেলানো হচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নদী ভাঙনকবলিত মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে নিন্মমানের জিওব্যাগ ফেলানোর চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি ও ভালকুটিয়া গ্রামের এক কিলোমিটার জুড়ে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহ ধরে। ভাঙনে ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন করছে। এতে তিনটি প্রাইমারি স্কুল, তিনশ বছরের কালীমন্দির, আধা-পাঁকা ঘরবাড়িসহ শতাধিক পরিবার ভাঙনের কবলে রয়েছে।
এদিকে ভাঙনরোধে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ড এক কিলোমিটার ভাঙন এলাকার মধ্যে মাত্র ৭৫ মিটার এলাকায় ভাঙনরোধে ৫০ লাখ টাকার প্রকল্পের অধীন জিওব্যাগ ফালানোর কাজ শুরু করেছে। এতে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনা নদীতে জিওব্যাগ ফেলছে। মাটি দিয়ে তৈরি করা জিওব্যাগগুলো নিন্মমানের হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
ভাঙন কবলিত মানুষদের অভিযোগ, যমুনা নদীতে জিওব্যাগ ফেলানো হচ্ছে তা নিন্মমানের। জিওব্যাগে বালুর পরিবর্তে ভিট মাটি দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ভর্তি করা জিওব্যাগে ঘাস দেখা গেছে। যেখানে জিওব্যাগ ফেলানো হচ্ছে তার অদূরে জেগে উঠা চর থেকে মাটি কেটে জিওব্যাগ ভর্তি করা হচ্ছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আল আমিন জানান, কিছু কিছু নৌকায় জিওব্যাগে ভিট মাটি পাওয়া গেছে। সেগুলো পরিবর্তন করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট আব্দুল লতিফ জানান, জিওব্যাগে মাটি ও কিছু ব্যাগে ঘাস পাওয়া গেছে। সেগুলো পরিবর্তনের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মফিদুল ইসলাম মজনু জানান, সঠিক জিওব্যাগে বালু ভর্তি করে ভাঙন এলাকায় ফেলানো হচ্ছে। কিছু কিছু নৌকায় জিওব্যাগে একটু সমস্যা আছে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে কাজের সিডিউলে কি বালু দিয়ে জিওব্যাগ ভর্তি করা হবে সেটা লেখা নেই।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, জিওব্যাগ বালু দিয়ে ভর্তি করে ভাঙন এলাকায় ফেলানোর জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেখানে জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ হচ্ছে সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা রয়েছেন। তিনি সর্বক্ষণ দেখাশুনা করছেন।