শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
কালের খবর রিপোর্ট :
বাবার সঙ্গে চারুপীঠে এসেছে। সত্যিই পাঁচ টাকা দিয়ে ঈদের নতুন জামা কিনেছে আরাফাত। রঙিন জামা হাতে পেয়ে বেজাই খুশি সে। চোখেমুখে তার আনন্দের ঝিলিক।
শুধু আরাফাত নয়, তার মতো সুবিধাবঞ্চিত প্রায় চার শতাধিক শিশু পাঁচ টাকার বিনিময়ে পেল নতুন পোশাক।
শুক্রবার সকাল ১০টায় শহরের পৌর উদ্যান সংলগ্ন চারুপীঠ ক্যাম্পাসে ফোঁড় ফ্যাশান হাউসের উদ্যোগে পাঁচ টাকায় নতুন জামা বিক্রি শুরু করা হয়। আগে আসলে আগে পাবে ভিত্তিতে বিক্রি করা হয়। এতে দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় বিক্রি।
খবর পেয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে ঈদের নতুন পোশাক কিনতে আসেন সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া এলাকার গৃহবধূ নাসিমা বেগম। ছেলে শাহজাহানের(১২) জন্য পাঞ্জাবি আর মেয়ে লামিয়ার (৭) জন্য কামিজ কেনেন তিনি।
নাসিমা বেগম বলেন, এখনও ঈদের বাজার করিনি। স্বামী দিনমজুর, আয় রোজগার তেমন না। পাঁচ টাকায় বাচ্চাদের কাপড় বিক্রির সংবাদ শুনে এসেছি। ভেবেছিলাম কী জানি কী দেবে! এখন দেখছি, খুবই সুন্দর সুন্দর জামা-কাপড় বিক্রি করা হচ্ছে। পাঁচ টাকায় এতো সুন্দর জামা-কাপড় পাওয়া যাবে- ভাবতেই পারিনি। সন্তানদের নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতে পেরে নাসিমা বেগমের মতো অভিভাবকরা বেজাই খুশি।
আয়োজকরা জানান, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। সেই আনন্দ ও খুশি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে, বিশেষ করে এ অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে মাত্র পাঁচ টাকায় ঈদের নতুন পোশাক দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুই বছর থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের ফ্রক, সালোয়ার কামিজ, টপস, পাঞ্জাবি ও পায়জামা এবং বড়দের জন্যে পাঞ্জাবি বিক্রি করা হয়। যদিও এসব পোশাক ৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে ফোঁড়ের শো-রুমে।
ফোঁড় ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী ও চারুপীঠের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ বলেন, শিশুরা যাতে এই পোশাকগুলো দান মনে না করে সে জন্য পাঁচ টাকা মূল্য নির্ধারণ করেছি। এতে করে তাদের অংশীদারত্ব থেকে যায়। তারা কোনো প্রকার হীনমন্যতায় ভুগবে না। সাধ্য অনুযায়ী উৎসবটিকে কিছু মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার এই প্রয়াসে স্বস্তি রয়েছে। আগামীতেও এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, নতুন জামা কাপড় বিক্রির টাকা আবার অসহায় দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।