রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শান্তি পরিবহনের চাপায় নারী নিহত। কালের খবর ভোরবেলা স’হবা’স করার ৭টি অবিশ্বাস্য উপকারিতা জেনে নিন। কালের খবর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মুনাফ কে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক মর্যাদায় চিরবিদায় দিলো প্রশাসন সহ এলাকাবাসী। কালের খবর একজন আদর্শ শিক্ষকের গুণাবলি গুলি কী কী হওয়া উচিত। কালের খবর সবুজবাগের ৭৩নং ওয়ার্ডে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত। কালের খবর আগামীর বাংলাদেশ হবে জুলুম নির্যাতন ও অন্যায় দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ মাওলানা : আবদুল হালিম। কালের খবর সাংবাদিকতার হুমকি দেশের জন্য অকল্যাণকর। কালের খবর : মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজে ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত। কালের খবর রায়পুরায় ৩১ দফা গণতন্ত্রের সনদ : কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শ্যামল। কালের খবর খাগড়াছড়ি পাজেপ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ। কালের খবর
বৃদ্ধা মায়ের আকুতি-মিনতিও পাষণ্ড ছেলে সাইফুলের মন গলেনি। কালের খবর

বৃদ্ধা মায়ের আকুতি-মিনতিও পাষণ্ড ছেলে সাইফুলের মন গলেনি। কালের খবর

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি , কালের খবর :
‘বাবারে ক্ষিদা যে সইজ্য অয় না, জানডা বারইয়া যাইতাছে। এক মুইট ভাত দে জানডা বাঁচাই।

আশি বছরের বৃদ্ধার কাকুতি-মিনতিও পাষণ্ড ছেলে সাইফুলের মন গলাতে পারেনি। উল্টো গত বৃহস্পতিবার সকালে চলৎশক্তিহীন মাকে মারধর করে বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। এ অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে তিনদিন পড়ে থেকে হাজেরা বেগম আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন।
শনিবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উদ্যোগে হাজেরা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উথুরী গ্রামে। এ ঘটনায় হাজেরা বেগম শনিবার রাতে ছেলেদের বিরুদ্ধে গফরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

পুলিশ রবিবার বিকেলে হাজেরা বেগমের ছেলে আব্দুস সাত্তার ও সাত্তারের ছেলে তাফাজ্জলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উথুরী গ্রামের মৃত রেসমত আলীর স্ত্রী হাজেরা বেগমের তিন ছেলে-সাইফুল ইসলাম, সোহরাব উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার। প্রায় ১৬ বৎসর পূর্বে স্বামী মারা যাওয়ার সময় হাজেরা বেগমের নামে ১২ কাঠা জমি লিখে দিয়ে যান। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেরা হাজেরা বেগমকে কিছুদিন ভরণ-পোষণ করেন। এক পর্যায়ে ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম জোর করে গোপনে হাজেরা বেগমের কাছ থেকে ১২ কাঠা জমি নিজের নামে লিখে নেন। এ খবর পাওয়ার পর অন্য দুই ছেলে মায়ের ভরণ-পোষণ ও খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় হাজেরা বেগম ছোট ছেলে সাইফুলের সংসারে খাওয়া দাওয়া করতেন। কিন্তু সাইফুলের সংসারে দিনদিন তার আদর কমতে থাকে। এমনকি সাইফুল মাকে ভাত কাপড়েও দেন না। তিন বেলার মধ্যে কখনো এক বেলা খাবার দিতেন। কখনো এক বেলাও তাকে খাবার দেওয়া হতো না। ভাতের জন্য কাকুতি-মিনতি করলেও দেওয়া হতো না। উল্টো মাকে মারধর অত্যাচার করতেন সাইফুল।

এ অবস্থায় স্থানীয়ভাবে একাধিক বার বিচার সালিশও হয়েছে। জমি লিখে নেওয়ায় বিচার সালিশে সাইফুলকেই হাজেরা বেগমের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সাইফুল কোনো বিচার সালিশ মানেন না।

হাজেরা বেগম বলেন, বাবারে আর কয়ডা দিন বাইচ্চা থাহাম? ভাতের কষ্ট সইজ্য অয় না। আল্লাত মরনও দেয় না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস ছোবাহান কালা মিয়া বলেন, হাজেরা বেগমের খাওয়া দাওয়া নিয়ে একাধিক বার বিচার সালিশ হয়েছে। বড় ছেলেরা জমি না পাওয়ায় মাকে খাওয়াতে চায় না। ছোট ছেলে সাইফুল জমি লিখে নিলেও এখন মাকে খাওয়ায় না।

গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে হাজেরা বেগমের এক ছেলে ও নাতিকে আটক করা হয়েছে। আমি হাসপাতালে গিয়ে হাজেরা বেগমের খোঁজখবর নিয়েছি। অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com